কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
অর্থনীতি
0

দেশে রেকর্ড সাড়ে ২৩ লাখ টন লবণ উৎপাদন

প্রচণ্ড গরমে মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই দেশে রেকর্ড সাড়ে ২৩ লাখ টন লবণ উৎপাদন করেছে প্রান্তিক চাষিরা। যা গত ৬৩ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বৃষ্টিপাতহীন সপ্তাহ পার করতে পারলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার ২৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে লবণ আমদানির প্রয়োজন হবে না মনে করছে বিসিক।

গড়াই দিয়ে সমতল করা মাটির উপর বিছানো পলিথিনে জমানো লবণাক্ত পানি দুই দিনের মধ্যেই তপ্ত রোদে শুকিয়ে পরিণত হয় ধবধবে সাদা লবণে। বিস্তীর্ণ উপকূলজুড়ে চলে বিশাল এ কর্মযজ্ঞ।

তপ্ত রোদে মাঠ থেকে লবণ তুলতে ব্যস্ত থাকে একদল শ্রমিক। অপরদল উত্তোলন করা লবণ এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়। সেই স্তুপ পলিথিন ও মাটি দিয়ে ঢেকে মজুত করা হয় পরবর্তীতে বেশি লাভে বিক্রির আশায়।

মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই এবার গত ৬৩ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে দেশে। গত ২ মে পর্যন্ত উৎপাদিত হয়েছে ২৩ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৮ টন লবণ। গত বছর এ সময় লবণ উৎপাদন হয়েছিল ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৭ টন। গরমে একদিকে যেমন উৎপাদন বেড়েছে, তেমনিভাবে দাম আশানুরূপ পাওয়ায় খুশি প্রান্তিক চাষিরা।

লবণ চাষিরা বলেন, এ বছর আমাদের অনেক লাভ হইছে। ২৫-২৬ লাখ টাকার মতো বিক্রি করছি। পরে আবার ৩-৪ হাজার মণ জমিয়ে ফেলছি।

উৎপাদন বাড়ায় গত বছরের তুলনায় মাঠ পর্যায়ে কিছুটা কমেছে লবণের দাম। বর্তমানে লবণের মণপ্রতি মূল্য ৩১০-৩৫০ টাকা পাচ্ছেন চাষিরা। গত বছর একই সময়ে প্রতিমণ লবণ বিক্রি হয়েছে ৪২০ টাকায়।

কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের ৯ উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মোট ৬৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে।

লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, 'বৃষ্টি যেহেতু এখন বন্ধ হয়ে গেছে। গরমটা যদি আবারও সপ্তাহ খানেক পড়ে তাহলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। আমাদের মৌসুম এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত।'

লবণের বার্ষিক চাহিদা ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টনের মতো। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।