সিলেটের পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম রেখা দিয়ে ভারি বৃষ্টিপাত বয়ে যাচ্ছে। ভোগলিক কারণে সারা বছর এ অঞ্চলে তুলনামূলক অধিক বৃষ্টিপাত হলেও চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তাই বৃষ্টি হওয়াতে নগরবাসীদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।
যদিও তিনদিন আগেও সিলেটে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে এই তিনদিনে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়।
গতকাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, সিলেটের ওপর দিয়ে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ভারি অথবা মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। প্রায় ২ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে সেখানে মুষল ধারায় বৃষ্টিপাত হয়। এ বৃষ্টি আরও ভারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোন শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ বৃষ্টিতে সিটি করপোরেশনের কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে এদিন দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিলে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের যে তাপমাত্রা আছে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে আশার খবর পরের মাসের শুরুতে অর্থাৎ ২ মে’র পর থেকে সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়সহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।