বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত নায়াগ্রা দেখতে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। তবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এসে নতুন এক বৈচিত্র্যের দেখা মিলছে এই জলপ্রপাতের ধারায়। তীব্র শীতে জমে যাচ্ছে পানির ধারা, খণ্ড খণ্ড বরফ ভেসে বেড়াচ্ছে নদী জুড়ে।
একই অবস্থা নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীতেও। নদীর পানির উপরিভাগ পরিণত হয়েছে বরফে। আর ফ্লোরিডার উপকূলীয় শহরের রাস্তায় জমে আছে তুষারের পুরু আস্তরণ।
জানুয়ারির শুরু থেকে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল। হিমাঙ্কের নিচে পৌঁছেছে তাপমাত্রা। রেকর্ড পরিমাণ তুষারপাতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় বিলম্ব হচ্ছে অসংখ্য ফ্লাইট।
তুষার ঝড়ের সতর্কতার আওতায় ৫ অঙ্গরাজ্যের ৬ কোটিরও বেশি বাসিন্দা। গালফ উপকূল থেকে আসা নিম্নচাপে টেক্সাস ও লুইজিয়ানায় তাপমাত্রা বাড়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। পাশাপাশি গেল ৬৫ বছরে এই প্রথম এমন তীব্র তুষারপাতের কবলে টেক্সাসবাসী।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে যখন তুষারপাত ও ঝড়ের তাণ্ডব চলছে, তখন যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে আঘাত এনেছে চলতি দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ 'বোম্ব' সাইক্লোন আয়ো-উইন। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের কিছু কিছু এলাকায় চলছে শক্তিশালী এ ঝড়ের তাণ্ডব।
বিবিসি জানায়, কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৪ কিলোমিটার। বৈরি আবহাওয়ার কারণে আকাশ ও নৌপথে বিঘ্ন হচ্ছে যান চলাচল। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ৫ লাখেরও বেশি বসতবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজও।
শক্তিশালী এ ঝড়ের কারণে আয়ারল্যান্ডের অন্তত ২৫টি কাউন্টিতে জারি রয়েছে রেড অ্যালার্ট। সিএনএন ক্লাইমেটের প্রতিবেদন বলছে, এরমধ্যে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও ডনেগাল কাউন্টিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
গেল বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের নানা স্থানে আঘাত হানা ৫টি শীতকালীন ঝড়ের মধ্যে শক্তি ও গতির বিচারে এই আয়ো-উইনকেই এগিয়ে রাখছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।