শরীয়তপুরের নড়িয়ার গাগ্রীজোড়া গ্রামের কৃষক সত্তোরোর্ধ্ব আবু বক্কর খাঁ। জলাবদ্ধতার কারণে কচুরিপানার নিচে তার দুই একর জমি। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমেও চাষ করতে পারছেন না বোরো ধান। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
আবু বক্করের অভিযোগ, সড়ক বিভাগের খামখেয়ালিপনায় এমন দশা নসাশন-পাড়াগাঁও খালের। এতে জমি থেকে পানি না নামায় লোকসান গুণতে হবে বলে দাবি তার।
একই অভিযোগ নড়িয়ার নশাসন, গাগ্রীজোড়া ও পাড়াগাঁও এলাকার হাজারও চাষির। জলাবদ্ধতার কারণে বোরো আবাদ করতে পারছেন না তারা। জানান, অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ আর সড়ক সম্প্রসারণের কারণে ভরাট করে দেয়া হয় খালের কীর্তিনাশা নদীর কোটাপাড়ার অংশ। এতে বন্ধ হয়ে গেছে খালের পানি প্রবাহ। এতে সময়মত পানি না নামলে বর্ষায় দীর্ঘস্থায়ী হবে জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগ বাড়বে স্থানীয়দের।
সড়ক বিভাগ বলছে, প্রকল্পের নকশা করার সময় খালের বিষয়টি খেয়াল না করায় এমনটি ঘটেছে। যদিও জমির নকশায় শুরু থেকে খালের কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানান ভূমি কর্মকর্তারা।
নড়িয়া নশাসন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘২৪৪নং দাগে খাল রয়েছে নকশা ও রেকর্ড অনুযায়ী। এটা জেলা প্রশাসকের নামে খাল শ্রেণি হিসেবে নথিভুক্ত আছে।’
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ‘প্রাকৃতিক জলাশয় প্রবাহ কোনোভাবে বন্ধ করা যাবে না। সে কারণে আমরা প্রবাহটা অব্যাহত রাখার জন্য যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দরকার সেগুলো আমরা নেব।’
জলাবদ্ধতার কারণে শরীয়তপুরে এ বছর ২ হাজার ৮১২ হেক্টর জমি থাকছে অনাবাদী। এ অবস্থায় পানি নিরসনে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।