আজ (বৃহ্স্পতিবার, ২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরান বাজারে তিতাস ভবনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
গত সোমবার (২২ এপ্রিল) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
কাতারের সঙ্গে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জ্বালানি চুক্তি হয় ২০১৭ সালে। দীর্ঘমেয়াদি এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন ও সর্বোচ্চ আড়াই মিলিয়ন টন এলএনজি কিনছে। কাতারের রাশ লাফফান লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি থেকে যা ২০৩২ সাল পর্যন্ত কেনা যাবে।
কাতারের আমিরের এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায়। যদিও এ বিষয়ে সে সময় আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তবে বৈঠক না হলেও দেশটি থেকে জ্বালানি কেনার অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বাকিতে জ্বালানি কিনতে কাতারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশে সফরকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। ভবিষ্যতে জ্বালানির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, দুই দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন-সুরক্ষা, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি, সাগরপথে পরিবহন এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্য যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
এছাড়া যে ৫টি সমঝোতা স্মারকের সই হয়। সেগুলো হলো শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা।