রয়টার্সের প্রতিবেদন ধরে বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন যে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কারণে তিনি ‘অপমানিত’ বোধ করছেন।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান এবং সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পর একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন থেকে যান।
তিনি ২০২৩ সালে পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে। দলটি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিষিদ্ধ হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে চাই।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমি থাকবো। আমি সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত রাষ্ট্রপতির পদ ধরে রেখেছি।’
এটি দায়িত্ব গ্রহণের পর গণমাধ্যমে দেয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকার বলেও উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
মো. সাহাবুদ্দিনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে দেখা করেননি, রাষ্ট্রপতির প্রেস বিভাগ সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তার প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
‘প্রেসিডেন্টের ছবি সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে ছিল, আর একরাতে হঠাৎ তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যায় যে হয়তো প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেয়া হবে। আমি খুবই অপমানিত বোধ করেছি।’—রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মো. সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি প্রতিকৃতি নিয়ে ড. ইউনূসকে লিখেছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।’





