১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুজিব ব্যাটারি প্রথম আর্টিলারি ইউনিট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আত্মপ্রকাশ করে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ইউনিট চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহযোগী হিসেবে ফায়ারিং অপারেশনে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখে।
মুজিব ব্যাটারি নামের এই আর্টিলারি ইউনিটের স্মৃতি সংরক্ষণ ও ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে নির্মিত হয়েছে এই কমপ্লেক্স।
এরপর প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সে স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর ঘুরে দেখেন। এ সময় জাদুঘরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর অতি বাস্তব প্রতিকৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারির প্রথম গোলাবর্ষণকারী ঐতিহাসিক ৩ দশমিক ৭ ইঞ্চি হাউইটজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদসহ নানা ঐতিহাসিক স্মৃতি ঘুরে দেখেন। পরে হালিশহরের দরবার হলে সেনাসদস্যদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এই কমপ্লেক্সে জাদুঘর ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা ও আন্তর্জাতিক মানের হল রয়েছে। সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তনায়নে এই কমপ্লেক্স অনন্য অবদান রাখবে।