যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইরান-ইসরাইল অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব

মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। হামলার খবরে একদিনের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেল ও স্বর্ণের দাম। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি না হোয়াইট হাউজ।

গাজায় ছয়মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। লেবানন, ইয়েমেনের সঙ্গে এবার সরাসরি যুদ্ধের মুখে ইরান। এরআগে হুতিদের হামলায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এবার ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে তেল ও স্বর্ণের দাম।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে ইরান। ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য ইরান দিনে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে। যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল সরবরাহকারী মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের নতুন করে অস্থিরতা শুরু হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে ঘাটতি দেখা দিবে তেল সরবরাহে। এতে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৩০ থেকে ৪০ ডলার বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছেন ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৮৮ ডলার, সপ্তাহের ব্যবধানে যা বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ।

এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়লে ওমান ও ইরানের মধ্যে হরমুজ প্রণালী দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বাধা আসতে পারে। কারণ বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের পাঁচ ভাগের এক ভাগ আসে গুরুত্বপূর্ণ এই রুট দিয়ে।

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে প্রভাব পড়ছে বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। ব্যবসায়ীরা নিরাপদ বিনিয়োগের আশায় স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। এ অবস্থায় একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি।