গেলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেভারিট থেকেই শিরোপা জিতে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এবারও ছড়ি ঘুরাচ্ছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে কোণঠাসা করে রাখলেও এদিন গার্দিওলাদের ভাগ্য সহায় হয়নি। যার দরুণ সেমির রেস থেকে ম্যানসিটি ছিটকে গেছে।
লিগে দারুণ সম্ভাবনা জাগালেও আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের সেরা চারে উঠা হয়নি। প্রথম লেগ সমতায় শেষ করলেও দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের কাছে তারা পরাস্ত হয়। গেল এক দশকে খরচের দিক দিয়ে ম্যানসিটি ও আর্সেনাল শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। এমনকি নিজেদের লিগেও তাদের দাপট কম নয়। কিন্তু ইউরোপের মর্যাদাপূর্ণ দুটি আসর চ্যাম্পিয়ন্স আর ইউরোপা লিগ থেকেই ছিটকে গেছে দুই ক্লাব।
২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। খরচের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বলার মতো সাফল্য নেই ইংলিশ ক্লাবটির। ইউরোপের সেরা দুটি আসরের সেমিফাইনালে তাদেরও খেলা হচ্ছে না। শুধু তাই নয় ইউরোপের এই টুর্নামেন্টগুলোতে এবার সেরা চারে কোন ইংলিশ ক্লাব জায়গা করতে পারেনি। একুশ শতকে এমন ঘটনা তৃতীয়বার দেখবে ইউরোপিয়ান ফুটবল সমর্থকরা।
এর আগে ২০০২-০৩ এবং ২০১৪-১৫ মৌসুমে লিগগুলোর শেষ চারে দেখা যায়নি ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবকে। আর বিগত বিশটি মৌসুমের মধ্যে চতুর্থবারের মতো কোন ইংলিশ ক্লাবকে আসরগুলোর ফাইনালে খেলতে দেখা যাবে না। অথচ পাঁচ বছর আগেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর ইউরোপা লিগের ফাইনাল ইংলিশ ক্লাবের দখলে ছিল।
সে সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপার জন্য লড়াই করেছিল লিভারপুল-টটেনহ্যাম আর চেলসি-আর্সেনাল ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলেছিল। এছাড়া গত পাঁচবারের মধ্যে ইউরোপা লিগের তিনটি টাইটেল ছিল ইংলিশ ক্লাবের দখলে।
অবাক হলেও সত্য যে, দুটি টুর্নামেন্টের জন্য লড়াই করে যাওয়া ক্লাবগুলোর মধ্যে খরচের দিক দিয়ে ইংল্যান্ডের সাতটি ক্লাব শীর্ষ দশে আছে। সেই তালিকায় ম্যানইউ, ম্যানসিটি, আর্সেনাল ছাড়াও চেলসি, নিউক্যাসল, টটেনহ্যাম ও ওয়েস্টহ্যামের নাম আছে।