ফুটবলে রিয়াল-বার্সা দ্বৈরথ মানেই বিশেষ কিছু। স্পেনের দুই ঐতিহাসিক ক্লাবের লড়াই মানেই ফুটবল ভক্তদের দুইভাগে ভাগ হওয়া। এক ধ্রুপদী লড়াইয়ের উপাখ্যান।
সাম্প্রতিক সময়ে মেসি-রোনালদোবিহীন লড়াই হলেও হালের লামিন ইয়ামাল, ভিনিসিয়াস জুনিয়র কিংবা এমবাপ্পের মতো তারকারা থাকায় দুই দলের লড়াইয়ের উত্তাপ কমেনি একটুও।
২০২২-২৩ মৌসুমে দুই দল সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচবার মুখোমুখি হয়। যার মাঝে বার্সেলোনা লিগ শিরোপা জিতে ও সুপারকোপাতেও রিয়ালকে হারায়। সেই মৌসুমে কোপা ডেল রের দুই লেগে সেমিফাইনালে বার্সাকে হারিয়ে হারের প্রতিশোধ নেয় মাদ্রিদ। গেলো বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগার শিরোপার ডাবল জিতে মাদ্রিদ বার্সেলোনাকে তিনবারের দেখায় তিনবার হারিয়ে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে।
এই মৌসুমে গেল অক্টোবরে রিয়ালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দারুণ শুরু পায় কাতালনরা। এছাড়া জানুয়ারির ১৩ তারিখে স্প্যানিশ সুপার কোপায় বার্সার কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয় রিয়াল।
সব মিলিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৫৯ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে রিয়ালের জয় ১০৫টিতে বার্সার জয় ১০২ ম্যাচে। ড্র হয়েছে ৫২টি ম্যাচ। এর মাঝে লা লিগা ১৮৯বার কোপা ডেল রে ৩৭বার কোপা ডি লা লিগা ছয়বার সুপার কোপা ১৮বার, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ৮বার ও কোপা ডি করোনাসিয়নে এক ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল।
এল ক্লাসিকোতে ২৬ গোল করে সবার উপরে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তারপরেই ১৮ গোল করে আর্জেন্টিনা ও স্প্যানিশ লিজেন্ড আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ১৬ গোল করে এর পরেই আছেন ফ্রান্সের করিম বেনজেমা। ১৫ গোল করে তালিকার পাঁচে আরেক স্প্যানিশ গ্রেট রাউল গঞ্জালেস।
ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ ৪৮ ম্যাচ খেলেছেন সার্জিও বুসকেটস। ৪৫ ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোস। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ খেলেছেন বেনজেমা। এছাড়া ৪২টি করে ম্যাচ খেলেছেন গেন্টো, সাঞ্চিজ ও জাভি।
এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় রিয়ালের ১১-১ ব্যবধানে জয়। ১৯৪৩ সালে কোপা ডেল রের ম্যাচে এই জয় পায় রিয়াল। এছাড়া ১৯৩৫ সালে লা লিগায় ৮-৩ ব্যবধানে বার্সাকে হারায় তারা। ১৯৫০ সালে ৭-২ গোলে রিয়াল কে বিধ্বস্ত করে বার্সা। এছাড়া ১৯৫৭ সালে রিয়ালকে ৬-১ গোলে হারায় কাতালুনিয়ানরা। একই ব্যবধানে ১৯৪৯ সালে বার্সাকে হারায় রিয়াল।
এল ক্লাসিকো দ্বৈরথে সর্বোচ্চ ২টি করে হ্যাটট্রিক করেছেন অল টাইম গ্রেট সান্টিয়াগো বার্নাব্যু, জেমি ল্যানকাজো, ফেরেঙ্ক পুসকাস ও লিওনেল মেসি।