দেশে এখন
0

ঈদের তৃতীয় দিনে জমজমাট বিনোদনকেন্দ্র

ঈদের তৃতীয় দিনেও দর্শনার্থীতে ঠাসা ছিল বিনোদনকেন্দ্রগুলো। আপনজনের সঙ্গে সময় কাটাতে কেউ গিয়েছেন শহর থেকে ৪০ কিলো দূরে ড্রিম হলিডে পার্ক। কেউ আবার ঈদের এই অবসর সময়ে শিশুদের নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন পশু পাখিদের মেলা চিড়িয়াখানায়। আর সন্ধ্যার পর মাল্টিকমপ্লেক্সে দেখা গেছে সিনেমাপাগল মানুষদের।

ঈদ মানেই আনন্দ। আর সেই আনন্দকে রাঙাতে মানুষের প্রথম পছন্দ প্রকৃতির সব উপকরণ একসাথে পাওয়া যায় এমন স্থান। আর সেই রঙে সবচেয়ে বেশি রঙিন শিশুরা। ঈদে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের প্রথম গন্তব্য বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র।

ঈদের ৩য় দিনেও তাই ঢাকা অদূরে নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কে পা ফেলার জায়গা ছিল না সকাল থেকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ এসেছে ঈদের ছুটিকে উপভোগ করতে। কর্ম ব্যস্ততার বিরতিতে পরিবারকে সময় দিতেই তাপদাহ উপেক্ষা করে ছুটে আসা।

পার্কে রাইডগুলোতে শিশুদের কলতান। ট্রেন সাফারি, দোলনা, রোলার কোস্টার, শান্তা মারিয়ামসহ সকল বুথেই দীর্ঘ জটলা।

বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে রাইডে চড়ে উল্লাস করেছেন শিশুরা

ড্রিম হলিডে পার্ক টিকেট মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩২০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২২০ টাকা। কাপল প্যাকেজের মূল্য ২৫০০ টাকা এবং ফ্যামিলি প্যাকেজের মূল্য হলো ৪৫০০ টাকা।

শিশুরা জানায়, তারা বাঘ-সিংহ ও হাতিসহ বিভিন্ন পশুপাখি দেখে তারা খুব আনন্দিত।

এদিকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমাগম জাতীয় চিড়িয়াখানায়। প্রতিদিন আসছেন লাখের ওপর দর্শনার্থী।

চিড়িয়াখানায় বাঘ-সিংহ-ভাল্লুকদের সাথে মেতে উঠে সব বয়সী মানুষ। প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণে অনেককেই গাছের নিচে মাদুর পেতে পরিবার নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। চৈত্রের সূর্যের উত্তাপকে পাশ কাটিয়ে বিনোদনে বৈচিত্র্য ফুটে ওঠে চিড়িয়াখানার প্রতিটি খাঁচার সামনে।

শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও রাইডে চড়ে ঈদ উপভোগ করেছেন

এবার দর্শনার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায় বাইরে ও অভ্যন্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একাধিক লোকবল নিয়োজিত রয়েছে।

একেকটি মানুষ একেকটি চরিত্র। সবকিছুর সমন্বয়ে হয় একটি গল্প। চক্রাকারে চলা মানুষের এই চিন্তাই সিনেমাহলে টেনে আনে দর্শকদের। আর ঈদ হলেতো কথায় নেই। ঘরে বসার ফুরসৎ কোথায়?

বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অন্ধকার রুমে প্রবেশ করে সিনেমাপ্রেমীরা। বড় স্ক্রিনে পছন্দের চরিত্র দেখে উল্লাসিত তারা।

ঈদের ছুটিতে সিনেমা হলগুলোতেও ছিল দীর্ঘ সারি

একেকটি গল্পে ভিন্নতা থাকায় ঈদের মতো বিশেষ সময়ে হলে এসে সিনেমা দেখয়ে পছন্দ করেন দর্শকরা। আর তাদের আনন্দ দেখে সিনেমা বানিয়ে স্বস্তি মেলে প্রযোজক -পরিচালকদের।

যান্ত্রিক এই ব্যস্ততার অবসরে ঈদের এই আনন্দ দ্বিগুণ হওয়ার অপেক্ষায় আর একটি দিন। কারণ রাত পোহালেই বাংলা নতুন বছরের রঙে মিশে আরও বেশি রঙ্গিন হবে বাঙ্গালীর আনন্দ উদযাপন।