ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব মিলে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সিলেটে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। জাফলং, জিরোপয়েন্ট ঘেঁষা ভারতীয় ঝুলন্ত ব্রিজ, ফাটাছড়া মায়াবি ঝর্ণাসহ সিলেটের নান্দনিক পর্যটন স্পট সমূহে যে দিকে চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ।
প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে সবুজ পাহাড় আর নীল স্বচ্ছ জলরাশিতে বিমোহিত পর্যটকরা। দর্শনার্থী একজন বলেন, 'জাফলং একটা দর্শনীয় স্থান এই কারণে পরিবারসহ ঈদের ছুটিতে ঘুরতে আসা।'
পর্যটনকেন্দ্র জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও তাদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন নিয়েছে নানা পদক্ষেপও।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বলেন, 'জাফলং পর্যটন স্পট। যেহেতু গতকাল ঈদ গিয়েছে এখন পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর এখনো পায়নি। এইটা সম্ভব হয়েছে সচেতনতার কারণে। জেলা পুলিশ, বিট পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমরা ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি।'
জাফলংয়ের এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে নানা রকম ব্যবসা বাণিজ্য। গত কয়েক বছরে ঝিমিয়ে পড়া ব্যবসায় ধীরে ধীরে কাটছে মন্দা ভাব ।
পর্যটকরা সিলেটমুখী হওয়ায় আশার আলো দেখছেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা। একজন বলেন, 'ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তেছে। প্রশাসনের থেকে নজরদারি করা হচ্ছে এখানে কোনো প্রকার নকল পণ্য বিক্রি যেন না হয়।'
আরেকজন জানান, 'গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো হচ্ছে। আর পর্যটকের আনাগোনা এবার বেশি।'
ঈদকে কেন্দ্র করে বিনোদনের জন্য মানুষ ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসে প্রকৃতির কাছে ,যার কারণে এই খাতে যোগ হয় বাড়তি টাকার প্রবাহ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে সামগ্রিকভাবে পর্যটন অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব থাকবে বছর জুড়েই।