দীর্ঘ ৯ বছর ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন এই কালজয়ী গীতিকার। চলতি বছরের মার্চ থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
২০১৫ সালে নগরীর ডিসি হিলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মাননা নেওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে তার বাম হাত ও বাম পা ভেঙে যায়। তারপর থেকেই তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন, শরীরে বাসা বাধে নানা রোগ। এ অবস্থায় দুই দফা মাইল্ড স্ট্রোক করলেও সবশেষ গত ১৩ মার্চ স্ট্রোক করে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। ধীরে ধীরে তার অবস্থা আরও গুরুতর হতে থাকে।
আধুনিক গানের ডামাডোলে যখন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান আকর্ষণ হারাতে বসেছিল তখনই হাতেগোনা যে ক’জন গীতিকার-সুরকার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানকে আবারও প্রাণ দিয়েছেন সৈয়দ মহিউদ্দিন তাদের একজন।
এছাড়া হাজারের বেশি গানের স্রষ্টা সৈয়দ মহিউদ্দিনের কথা ও সুরে শেফালী-শ্যামের বহু গান আজো দাগ কাটে শ্রোতাদের হৃদয়ে। কিন্তু সৈয়দ মহিউদ্দিন কোনো রাষ্ট্রীয় পদক বা বড় স্বীকৃতি পাননি।
প্রায় ৪৫ বছর ধরে সৈয়দ মহিউদ্দিন একনাগাড়ে গান লিখেছেন ও সুর করেছেন। তার অসংখ্য গান এখনও চট্টগ্রামের মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
অ জেডা ফইরার বাপ, একদিন বুঝিবা জেডা, একদিন বুঝিবা, মেজ্যান দিএ মেজ্যান দিএ ঐতারত, আঁর বউয়রে আঁই হাসাইয়ুম আঁই কাঁদাইয়ম আঁই খাবাইয়ম আঁই পিধাইয়ম তোরা কিল্লাই নাক গলচ, হেডমাস্টারসহ অসংখ্য কালজয়ী গানে চট্টগ্রামের ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি।
সৈয়দ মহিউদ্দিন প্রকাশ (মহি আল ভাণ্ডারী) ১৯৪৪ সালে ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ আমির হোসেন এবং মাতা সৈয়দা আনোয়ারা বেগম।