বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আলোচক ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে টেলিকম খাতের কর ও ব্যয়ের বিপরীতে জাতীয় অর্থনীতি ও স্মার্ট বাংলাদেশে অপারেটরদের অবদান নিয়ে তথ্য তুলে ধরেন অ্যামটব মহাসচবি লে. কর্নেল মোহম্মদ জুলফিকার (অব)। তিনি জানান, বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ।
বৈঠকে বলা হয়, দেশে বর্তমানে মোবাইল অপারেটর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ কোটি ১৩ লাখ। তবে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। যা মোট ব্যবহারকারীর ৫৬ শতাংশ। এছাড়া ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ ফোরজির আওতাভুক্ত।
আলোচনায় বলা হয়, মোট মোবাইল অপারেটর ব্যবহারকারীর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৭৪ লাখ। এছাড়া বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ব্যবহার করছে ২১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক।
মোবাইল টেলিকম অপারেটররা জানান, দেশের জাতীয় জিডিপিতে টেলিকম খাত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ শতাংশ অবদান রাখছে। নানাভাবে নিজেদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দেয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। সেজন্য সিম বিক্রি থেকে সম্পূর্ণ ট্যাক্স ছাড় দেওয়া উচিত বলে মনে করছে তারা।
জানা গেছে, প্রতি ১০০ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে টেলিকম অপারেটর কোম্পানিগুলোকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দিতে হয় ৩৯ টাকা, বিটিআরসিকে দিতে হয় ১৫ টাকা, ইকোসিস্টেমের জন্য দিতে হয় ১৮ টাকা এবং পরিচালন খরচ রয়েছে ২৬ টাকা। সেক্ষেত্রে কোম্পানিভেদে এ ব্যয় ৮৪ থেকে ১০৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে বলেও দাবি করেন টেলিকম খাতের উদ্যোক্তারা।
প্রত্যক্ষ এই কর বাদ দিয়ে যদি সিম ও কর্পোরেট কর প্রত্যাহার এবং স্মার্টফোন ও ডাটা সহলভ্য করা হয় তবে জিডিপিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করে অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব।
তারা বলছে, সার্বিকভাবে টেলিকমে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অন্তরায় ট্যাক্স, ভ্যাট, কাস্টম একইসঙ্গে তাদেরকেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো পুরোপুরি অটোমেশন করা দরকার।