দেশে এখন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫৩৯ স্থানে হাট-বাজার, ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে ৫৩৯টি স্থানে হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। যা নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় প্রধান বাধা। এছাড়া নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি, চালকের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা, ফিটনেস না থাকা ও থ্রি-হুইলারের কারণে সড়কে দুর্ভোগ বাড়ছে।

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ঈদযাত্রার একমাত্র সড়কপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের ১০ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ এই মহাসড়কে। তাই ঈদ আসলে বাড়তি চাপ তৈরি হয়।

তবে এবারও ঈদযাত্রায় ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। যেখানে মহাসড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে স্থায়ী-অস্থায়ী হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও অবৈধ স্থাপনা। যা যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও গাড়ি পার্কিং এবারের ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা হতে পারে।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রি হুইলার আর ফিটনেসবিহীন পরিবহন। একইসঙ্গে উল্টো পথে চলাচল ও চালকদের বেপরোয়া প্রতিযোগিতাও আছে, যাতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

এক বাস চালক বলেন, ‘মহাসড়কে সিএনজি চলে। সিএনজি চালকরা ডানে-বামে দেখে না। আর এতে করে দুর্ঘটনার পাশাপাশি সড়কে যানজট তৈরি হয়।’

যাত্রীরা বলেন, ‘আমরা নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে চাই। কিন্তু হঠাৎ করে যানজটে পড়েত হয়। আশা করছি, প্রশাসন নজর রাখলে সড়কে কোনো সমস্যা হবে না।’

কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২৩১ কিলোমিটার সড়কে ৫৩৯টি অবৈধ স্থাপনা, হাট-বাজার ও স্ট্যান্ড রয়েছে। যেখানে ২৬টি স্থানকে যানজটপ্রবণ হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এবারের যাত্রায় স্বস্তির খরব দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। যানজটমুক্ত, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অতিরিক্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, ‘২৬টি পয়েন্ট আমরা নির্ধারণ করেছি, যেগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ঈদ উপলক্ষে গাড়ি সারিবদ্ধ থাকবে না, ‘টাচ অ্যান্ড গো’ নিয়মে চলাচল করবে। যাত্রী নামিয়ে গাড়ি চলে যাবে, অকারণে কোনো গাড়ি থেমে থাকলে সেই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও গাড়ি পার্কিংয়ের ভোগান্তি এড়াতে কাজ করবে বাস মালিক সমিতি। আর সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখাসহ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে বলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

কুমিল্লা অঞ্চল বাস মালিক সমিতির মহাসচিব তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি স্টপেজে আমাদের প্রতিনিধি থাকবে। সড়কে যেন কোনো যানজট তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো।’

অপরাধ দমনে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্বক্ষণিক মহড়ায় থাকবেন পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্সসহ ৬৮০ জন পুলিশ ও ৩৫০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর