জীবন-জীবিকার তাগিদে আবারও শেকড় ছেড়ে ঢাকায় ফেরা, ফাঁকা রাজধানীতে ফের ব্যস্ত হবার পালা। তাই তো এই জনস্রোত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে।
ঈদের লম্বা ছুটি শেষে রোববার খুলছে অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলবে। তাইতো ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বস্তিতে ঈদ কাটিয়ে মানুষ ফিরছে কর্মস্থলে।
ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এবার ঈদের ছুটিটা লম্বা হওয়ায় সময়টা অনেক ভালো ও আনন্দে কেটেছে।’
তবে ছুটির শেষ দিন হওয়ায় এদিন চাপ ছিলো বেশি। প্রতিটি ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রী থাকায় দূরপাল্লার যাত্রা ছিল অনেকটা ভোগান্তির।
ট্রেনের আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘আসার সময় যাত্রী অনেক বেশি ছিল। এত বেশি চাপ ছিল যে সিট থেকে ওঠার অবস্থা ছিল না।’
দুই একটি ট্রেন বিলম্বে আসা যাওয়া করা ছাড়া এবাবের ঈদ যাত্রায় অনেকটা নিরবচ্ছিন্ন ছিল বলে জানান কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘এবারের ঈদ যাত্রা অনেক সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা স্টেশনের প্রায় সবগুলো ট্রেনই সময়মতো পৌঁছেছে। শুধু রংপুর এক্সপ্রেস এবং বুড়িমারি এক্সপ্রেসই দেরীতে প্রবেশ করেছে।’
এদিকে সড়ক পথেও ছিল ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকার প্রবেশমুখ কাঁচপুর ও যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে যানবাহনের চাপ।
নৌপথেও একই চিত্র দেখা যায়। সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বেড়েছে কর্মমুখী মানুষের ভিড়। নির্ধারিত সময়ের আগেই যাত্রী বোঝাই করে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
অতিরিক্ত চাপের কারণে অনেকেই নির্ধারিত আসনের বাইরে দাঁড়িয়ে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে কোন টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, 'ঈদের সময় আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা তদারকি করে দেখেছি, তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে না।'
চাঁদপুর ছাড়াও নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুরসহ আশেপাশের অনেক জেলার যাত্রীরা ঢাকায় যাতায়াতের জন্য এই নৌরুট ব্যবহার করে থাকেন।