যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন

ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান

প্রায় ৭ মাস ধরে ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। একযোগে বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ।

এমন প্রেক্ষাপটে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা তুলে ধরতে ‘দ্য অ্যানাটমি অব আ জেনোসাইড’ নামের বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ইসরাইল জাতিসংঘ সনদের যে আইনগুলো লঙ্ঘন করেছে সেগুলো সামনে এনেছেন মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। তার দাবি, সনদের পাঁচটি আইনের মধ্যে তিনটি আইন স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে দেশটি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে তিনি বলেছেন, ইসরাইলি হামলা ফিলিস্তিন জাতিকে মুছে ফেলার একটি প্রক্রিয়া। গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে ইসরাইলের ওপর অস্ত্র ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা দিতে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান আলবানিজ।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেন, ‘গণহত্যা একটি প্রক্রিয়া, যা একটি গোষ্ঠীর ধ্বংসের সঙ্গে শেষ হয়। গাজায় একটি গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ওপর গণহত্যার মতো অপরাধ করেছে।’

এদিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই নানা ধরনের হুমকির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ। তবে এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা বা নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করছেন না তিনি।

ফ্রান্সেসকা আলবানিজ আরও বলেন, ‘আমার জন্য এটি একটি কঠিন সময়। কাজের শুরু থেকেই আক্রমণের শিকার হয়েছি। এই প্রতিবেদন তৈরি করার প্রক্রিয়াটি আনন্দদায়ক ছিল না। প্রতিদিনই নানা বেদনাদায়ক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।’

আলবানিজের এই প্রতিবেদনকে সমর্থন জানিয়েছে কাতার, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়ার মতো দেশগুলো। এদিকে প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আলবানিজের চরম সমালোচনা করেছে ইসরাইল।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশের পর মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফা এলাকায় ইসরাইলি অভিযানের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকটি বাতিল করে ইসরাইল। গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়েও চাপে আছে নেতানিয়াহুর সরকার।

এতোকিছুর পরও হামলা থেকে সরে আসেনি ইসরাইল। তাদের নতুন লক্ষ্যবস্তু গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর