বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে ফুটবলটাকে কেবল উপভোগের উপলক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। দুনিয়াব্যাপী সমর্থকরাও কেবলই মাঠে জাদুকরের উপস্থিতিতেই তৃপ্তি খোঁজেন। কিন্তু দু'পক্ষের এমন নিষ্পাপ চাওয়ায় বাধ সাধছে অপয়া ইনজুরি।
লিওনেল মেসির বর্ণিল ক্যারিয়ারে চোট খুব একটা বাধা হতে পারেনি। লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছে বা মৌসুমের বড় অংশের ম্যাচ খেলতে পারেননি, এমনও হয়নি। তবে শেষ বেলায় যেন আর কথা শুনছে না শরীর। বিশেষ করে হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিটা গেল কয়েক বছর ধরে ভোগাচ্ছে বেশ।
চলতি মৌসুম শুরুর আগে থেকেই চোটাক্রান্ত ছিলেন এলএমটেন। প্রাক-মৌসুমে এশিয়া সফরে এসে খেলতে পারেননি বেশ কয়েকটি ম্যাচে। এরমধ্যে হংকংয়ের বিপক্ষে না খেলায় রীতিমতো লঙ্কাকান্ড বেঁধে যায়। তবে মেসি যে কতটা চোটগ্রস্থ সেটি টের পাওয়া যাচ্ছে মৌসুম শুরুর পরও।
সবশেষ গেল ১৪ই মার্চ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচে ইনজুরিতে আক্রান্ত হন মেসি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা গেছে পুরনো হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটটাই ভোগাচ্ছে তাকে। যার ফলে মাঠের বাইরে তিনি। খেলতে পারছেন না আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও।
ইন্টার মায়ামিরও দুটো ম্যাচ মিস করে ফেলেছেন মেসি। কবে নাগাদ আবার মাঠে দেখা যাবে তাকে সে অপেক্ষার প্রহর গুণছে সমর্থকরা। তবে তাদের জন্য এখনই কোন সুসংবাদ দিতে পারলেন না ইন্টার মায়ামি কোচ।
ইন্টার মায়ামি কোচ টাটা মার্টিনো বলেন, 'লিও ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। আমরা তার দিকে নজর রাখছি। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদেরকে অন্তত আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।'
কোচ নিশ্চিত করে কিছু না জানালেও, দল আশা করছে ৩ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মন্টেরির বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন লিওনেল মেসি। এরইমধ্যে নিউইয়র্ক রেডবুলসের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে মেসিবিহীন ইন্টার মায়ামি। মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই আর্জেন্টাইন জাদুকরকে পাওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।





