রোববার ( ২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, মার্চের ২২ দিনে আসা রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
এর আগে গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, ব্যাংকিং চ্যানেলে মার্চের মাসের প্রথম ১৫ দিনে ১০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত কয়েক মাসের প্রথম পনের দিনের তুলনায় বেশি।
মার্চের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০১ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ৯ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার এবং ১ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত আসে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।
গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা প্রায় ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ২১৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারিতে এর আগে কখনও ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়নি রেমিট্যান্স। মূলত ফেব্রুয়ারিতে দিন সংখ্যা কম হওয়ায় রেমিট্যান্স কম থাকে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলারের ভালো দর পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ২১০ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে প্রবাসীরা এক হাজার ৫০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন।
গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৪০১ কোটি ডলার। সে হিসেবে প্রথম ৮ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০৫ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৫৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এর আগে একক ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২১ সালে ১৭৮ কোটি ডলার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার। দেশের ইতিহাসে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার।