বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবশেষ সভায় বৃদ্ধি করা হয়েছে শান্ত-তাসকিনদের ম্যাচ ফি। টেস্টে ২ লাখ, ওয়ানডেতে ১ লাখ আর টি-টোয়েন্টিতে ৫০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এক টি-টোয়েন্টি খেলেই যেখানে আড়াই লাখ টাকা পায় সাকিব-মুশফিকরা। সেখানে টানা সাফল্যের জোয়াড়ে ভাসতে থাকা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। সর্বোচ্চ ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন মোটে ১ লাখ টাকা।
বৈষম্যের তফাৎটা অনেক বেশি। ওয়ানডেতে মেয়েদের চেয়ে চারগুণ আর টি-টোয়েন্টিতে প্রায় দুইগুণের বেশি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত সাফল্যের পরেও তাই কিনা আক্ষেপটা জ্যোতিদের বুক চাপা।
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, 'এটা পুরোটাই ম্যানেজমেন্টের চিন্তাভাবনা। আগে শুধু বিসিবির উপরই আমাদের নির্ভর থাকতে হয়েছে। এখন আমাদের সাথে নতুন নতুন স্পন্সর যুক্ত হচ্ছে।'
যদিও, ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম সেরা ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। এর আগে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ ফি সমানভাবে প্রদানের দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। এরপর তা দেখে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতও সেই পথে হেঁটেছে।
কিন্তু বিসিবি'র চেয়ে আর্থিক ভাণ্ডার সমৃদ্ধ না হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পিছিয়ে থাকা ক্রিকেট বোর্ডগুলো ছেলে মেয়ে সবার সমান পারিশ্রমিক দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর বিসিবির পরিকল্পনা কি?
বিসিবির নারী উইংয়ের হেড অব অপারেশন্স হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, 'পারিশ্রমিকের বিষয়টা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু একটা প্রসেস শুরু হয়েছে। আগের তুলনায় সবকিছু বাড়ছে আস্তে আস্তে। ভবিষ্যতে নিশ্চই আরও বাড়বে।'
একটা তথ্য জানলেই বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির পার্থক্য কোথায়। তা হলো, সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা যেখানে মোটে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আয় করবেন আসন্ন সিরিজে।
এর বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার ৫০ লাখ টাকারও বেশি অথাৎ, ৫৫ লাখ টাকা আয় করবে শুধুমাত্র ম্যাচ ফি থেকেই। এর বাইরে দৈনিক ভাতা, ম্যাচ বা সিরিজ সেরার পুরস্কার থেকেও বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকছে।