নিত্যপণ্যের চড়া বাজারের মধ্যেই রমজানের শুরু থেকে আরও লাগামহীন হয়ে পড়ে বাজার। বিভিন্ন সময় অভিযানের পরেও যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে মাছ, মাংস, আলু, ডিমসহ ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে বাজারে কি ক্রেতারা নির্ধারিত দামে পণ্য কিনতে পারছেন?
চট্টগ্রামের বাজারের পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। নির্ধারিত দাম তো দূরের কথা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জানেন না দাম নির্ধারণের বিষয়ে। তাই ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে বিক্রি করছেন বেশিরভাগ পণ্য। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম না কমলে খুচরায় দাম কমানো সম্ভব নয়। উৎপাদক, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজার সব জায়গায় নজরদারির দাবি জানান ক্রেতারা।
এদিকে নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি সিলেটের বাজারে। উল্টো কিছু পণ্য বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী বেগুন ৩৮ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। টমেটোর দাম ৩০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় আর মরিচ ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও গুণতে হচ্ছে আরও ১০ টাকা বেশি।
আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম নির্ধারণ করা হলেও আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
দামের দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই মাছ-মাংসের বাজার। পাঙ্গাস ও কাতলা মাছ পাইকারিতে ১৫৩ ও ৩০৩ টাকায় বিক্রির পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২০০ টাকা ও ৪০০ টাকা। সব বাজার ঘুরে ক্রেতা যখন মাংসের বাজারে সেখানেও সুসংবাদ নেই।
গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ হলেও বিক্রি হচ্ছে ৭২৫ টাকায়। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগি কিনতে ১৭৫ টাকার পরিবর্তে গুণতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। বাড়তি ডিমের বাজারও।
ইফতারের জনপ্রিয় আইটেম খেজুর। শুল্ক ছাড়সহ রমজানের আগে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলেও কিছুই কাজে আসেনি। সব রেকর্ড ভেঙে খেজুরের দাম ছুটেছে লাগামহীনভাবে। এবারে সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৫ টাকা।
তবে বাজারে ভোক্তারা খেজুর কিনছেন ৩০০ টাকায়। এছাড়া মসুর ডাল ১০৫ টাকা নির্ধারণ হলেও ক্রেতারা কিনছেন ১১০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। আর ছোলা ৯৮ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। যাতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, শুধু দাম বেঁধে দিলেই হবে না। নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হলে সঠিক তদারকির প্রয়োজন।