সোমবার (১১ মার্চ) সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রোববার (১০ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন তিনি।
নিহত ইকবাল হোসেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উল্যাহর বড় ছেলে।
আফ্রিকায় থাকা নিহতের ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকালে ডারবান এলাকায় দোকান বন্ধ করে বাসায় যাচ্ছিলেন ইকবাল। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হাতে থাকা টাকার বান্ডিল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন আহত ইকবালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ইকবাল হোসেন বড়। কয়েকদিন পর তার দেশে আসার কথা ছিল। বাড়িতে তার মা-বাবা, ভাই-বোন ছাড়াও স্ত্রী এবং তাহফিজ আল ইফাজ (১০) ও ইমরান হোসেন (৮) নামের দুই ছেলে রয়েছে।
এদিকে ইকবালের মৃত্যুর সংবাদে তাদের পুরো বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
বাড়িতে থাকা নিহতের আরেক ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় বারবার বাংলাদেশিদের ওপর আক্রমণ করে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাই।'
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ বলেন, 'এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় মামলা হয়েছে বলে জেনেছি। দূতাবাসে যোগাযোগ করে কাগজপত্র পাঠিয়ে মরদেহ দেশে আনার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'