দুই পাথরের পাহাড়ের মাঝখানে ৪শ মিটার দীর্ঘ এই স্বচ্ছ্ব জলধারাই মূলত দেবতাখুম। যেখানে কেউ বাঁশের ভেলায় চড়ে ভেসে বেড়াচ্ছেন, কেউ আবার চড়েছেন নৌকায়। পর্যটকদের কাছে অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য হয়ে উঠেছে বন্দরবান জেলার দর্শনীয় এই স্থান।
রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে দুর্গম এ জায়গা প্রিয় হয়ে ওঠার মূল কারণ এর বন্য সৌন্দর্য। ঘন বনে আচ্ছাদিত উঁচু পাহাড়, তার মাঝে বয়ে চলা স্বচ্ছ্ব ঝরনার জলে ভেসে বেড়াতেই প্রতিনিয়ত ছুটে আসছেন পর্যটকরা। যেখানে একটি নৌকায় ঘুরতে জনপ্রতি গুণতে হচ্ছে দেড়শ টাকা।
একজন পর্যটক বলেন, 'বন্ধ থাকার কারণে আমি দেবতাখুম আসার সুযোগ পাইনি আজকে আসলাম সবাই মিলে। এই জায়গা যদি না আসতাম তাহলে লাইফে অনেক কিছু দেখা মিস হয়ে যেত।'
সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বছরখানেক আগে দেবতাখুমে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন। ২২ জানুয়ারি থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা। তাই আবারও যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা ভুলে অবকাশ যাপনে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে ছুটে আসছেন অনেকেই।
আরেকজন পর্যটক বলেন, 'অসাধারণ সুন্দর জায়গা এখানে না আসলে বোঝা যাবে না।'
দেবতাখুমে পর্যটকদের সহযোগিতার জন্য আছে ৭৫ থেকে ৮০ জন ট্যুরিস্ট গাইড। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় পর্যটনে জড়িত ব্যবসায়ীরা খুশি।
পর্যটন খাতের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী বলেন, দেবতাখুম খুলে দেওয়ায় আমরা খুশি। এইটার মাধ্যমে আমাদের পারিবারিক, আর্থিক সবকিছু জড়িত এবং আমাদের জীবনমান উন্নতি হবে আশা করছি।'
দিনে গড়ে ৮শ' থেকে ১ হাজার পর্যটক দেবতাখুমে ঘুরতে আসেন। তাদের নিরাপত্তায় রয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
বান্দরবানের ট্যুরিষ্ট পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমাদের প্রত্যেকটা ট্যুরিস্ট পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। দেবতাখুম খুব ভালো একটি পর্যটন কেন্দ্র।'