২০১৯ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে নতুন রূপে সাজাতে সংস্কারকাজ শুরু করা হয়। যার প্রাথমিক বাজেট ছিল ৮০ কোটি টাকা। পরে যা ৯৮ কোটি টাকায় উন্নীত করে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
চার বছরে ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প ১৫৮ কোটিতে এসে ঠেকেছে। বাজেট বাড়লেও কাজ শেষ হওয়ার যেন কোনো তাড়া নেই। প্রথমে শুধু গ্যালারিতে অল্প জায়গায় শেড বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও পুরো ক্রীড়াপরিষদ স্টেডিয়ামজুড়েই দর্শক গ্যালারির ওপর শেড দেয়ার কথা ভাবে।
এখানেও কাজের গতি থমকে যায়। কাজের পরিধি বাড়ায় নকশা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্টেডিয়াম পর্যবেক্ষণ শেষে জানায়, সংস্কার করতে হবে আরও অনেক কিছুই।
বসত আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট মাসুদুর রহমান খান বলেন, 'প্রজেক্ট বন্ধ থাকার মূল কারণ হলো এপ্রুভাল এর বিষয়। সবাই অপেক্ষা করছে বাজেট বাড়বে। একটা টানাপোড়ান আছে। কেউ বলে এটা করতে হবে আবার কেউ বলে এটা করা যাবে না। কেন করা যাবে না? জিজ্ঞাস করলে বলে, এ ব্যাপারে বাজেট নেই বলে করা যাবে না।'
পুরো স্টেডিয়ামটি ভেঙে আবারও নতুন করে তৈরির প্রস্তাব দেয়া হলেও ক্রীড়া পরিষদ তাতে রাজি হয়নি। এছাড়া বাজেট নিয়ে পরিষদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণেই প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
মাসুদুর রহমান আরও বলেন, 'প্রাথমিকভাবে করতে গিয়েও দেখেছি অনেক জায়গায় সমস্যা আছে। যেমন দোকান থাকার কারণে প্রবেশপথগুলো পরিষ্কার নেই। আমরা কাজ করতে গিয়ে, আমি পরামর্শ দিয়েছি একটা মিডিয়া সেন্টার এভাবে চলতে পারে না। এটা পরিবর্তন করা দরকার। তখন বলে আপনারা এটুক করতে পারবেন আর এটুক করতে পারবেন না।'
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম দেশের ক্রীড়া জগতে অনন্য ইতিহাসের সাক্ষী। প্রথমে ক্রিকেট, তারপর ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসহ অনেক খেলা এ মাঠে হলেও এখন ৪ বছর ধরে এটি উন্নয়ন কাজের জন্য বন্ধ পরে আছে। দ্রুত সংস্কার শেষে আবারও জমজমাট হয়ে উঠুক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি। এটাই প্রত্যাশা দেশের ক্রীড়ামোদীদের।