দেশে এখন
0

মিষ্টিতে মেশানো হয় কাপড়ের রাসায়নিক রঙ

ব্র্যান্ডের আড়ালে বিক্রি করা হয় পচাগলা মিষ্টি, আর সেগুলো আকর্ষণীয় করতে মেশানো হয় কাপড়ের রঙ। ময়মনসিংহে 'মিষ্টি কানন' নামের একটি দোকানে হাতেনাতে এসব অনিয়ম দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ময়মনসিংহ নগরীর দুর্গাবাড়ি সড়কের মিষ্টি কানন নামের কারখানায় দুধ, ছানা, মিষ্টির সিরা সাজিয়ে রাখা হয় পরিপাটিভাবে। তবে সবই যেন শুভংকরের ফাঁকি। এসব মিষ্টিতে মেশানো হয় কাপড়ের রাসায়নিক রঙ। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিসহ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েছে এমন ঘটনা।

তবে মজুদ করা মিষ্টির মূল মাটির পাতিলে সাজানো রঙের প্রলেপ দেয়া রয়েছে। খোলা পড়ে আছে রসমালাই, জর্দা ও মিষ্টি। নোংরা পরিবেশে খুঁজে পাওয়া গেল পুরো গামলাভর্তি পঁচাগলা মিষ্টি। এভাবেই নগরীতে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মিষ্টির নামে বিক্রি হয় মেয়াদউর্ত্তীণ মিষ্টান্ন।

পরে এমন অনিয়মের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর আগেও প্রতিষ্ঠানটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে সতর্ক করা হলেও তা মানেনি তারা।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাছির হাসান বলেন, 'তাদের খাবারে মেয়াদ নেই। তারা আমাদের নষ্ট খাবার খাওয়াচ্ছে। নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন করছে তারা। অনেকগুলো অভিযোগ আমরা পেয়েছি, সে অভিযোগের সতত্যাও পেয়েছি।'

ময়মনসিংহ নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মির্জা শাহারান হোসাইন বলেন, 'তারা টেক্সটাইল ডাই ব্যবহার করছে যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটা থেকে ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে পারে। এর আগে মনিটরিং করতে এসে তাদের সতর্ক করে দিয়েছি।'

দণ্ড পাওয়ার পর, জরিমানা দিয়ে দায় স্বীকার করে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

রমজান মাসব্যাপী নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এই অভিযানে স্কোয়াড কমান্ডার জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে অংশ নেন ময়মনসিংহ র‌্যাব ১৪ সদস্যরাও।

এসএস