শাসন-শোষণ আর দখল-পাল্টা দখলের লড়াইয়ে বিপর্যস্ত মিয়ানমার। বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হামলার কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ জান্তা বাহিনী। অক্টোবর থেকে চলমান সংঘাতে ১৭০টির বেশি জান্তা ঘাঁটি এবং ৭টি শহর দখলে নেয়ার দাবি করছে আরাকান আর্মি।
এদিকে হারানো এলাকার দখলে নিতে এবং রাখাইন রাজ্যের কর্তৃত্ব ধরে রাখার চেষ্টায় মরিয়া জান্তা সরকার। তাই আরাকান আর্মির অগ্রযাত্রা ঠেকাতে গেল শনিবার চারটি হেলিকপ্টারে করে ১২০ জন জান্তা সেনাকে এনে রাখাইনের উপকূলীয় শহর রামরিতে মোতায়েন করা হয়। এরপর বিমান হামলা চালানো হয়। তখন পাল্টা আক্রমণে ৬০ জন জান্তা সেনা নিহতের দাবি করে আরাকান যোদ্ধারা।
একপর্যায়ে টিকতে না পেরে সোমবার রামরি শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করে মোতায়েন করা সেনারা। তখনও বিদ্রোহীদের হামলার মুখে আরও ২০ জন জান্তা সৈনিক প্রাণ হারায়। এছাড়া জান্তা বাহিনীর জন্য সামরিক বিমান থেকে ফেলা যুদ্ধের রসদ ও খাদ্যসামগ্রী জব্দ করে আরাকান আর্মি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই শহরটিতে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন থেকেই আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথে অবিরাম বোমাবর্ষণ করেও আরাকানদের দমাতে পারেনি জান্তারা।
সবশেষ পোন্নাগিউন, মংডু এবং বুথিডং শহরে জান্তা ঘাঁটি দখলে নিতে হামলা চালিয়েছে আরাকান আর্মি। বর্তমানে সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাখাইনের মিনবিয়া শহর। আর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে জান্তা বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মিনবিয়া শহরের মিন ফু গ্রামের একটি হাসপাতালে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমান বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে হাসপাতালের অনেক রোগী ও কর্মচারী আহত হয়েছেন। হাসপাতালের কর্মীরা ওই সময় আটক জান্তা সৈন্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।