শিবপুরের কারারচরে ১৫ একর জায়গায় ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নরসিংদী বিসিক, যা ১৯৯০ সালের দিকে উৎপাদনে আসে।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৩০ একর জায়গা নিয়ে বিসিকের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন হয়, যার বরাদ্দ এখনও চলছে। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ২৫২টি প্লটের মধ্যে বরাদ্দকৃত ৯৫টি প্লটে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৫টি উৎপাদনে আছে।
এখানে সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় গ্রে কাপড় ও তোয়ালে। পাশাপাশি উৎপাদন হচ্ছে শিশু খাদ্য, পাটজাত পণ্য, মবিল ওষুধ। উৎপাদিত এসব পণ্যের প্রায় ৩৫ শতাংশ এখন রপ্তানি হচ্ছে। বিসিক ঘিরে প্রায় ৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
কর্মচারীরা বলেন, ‘আমরা মানসম্মতভাবে পোডাক্ট উৎপাদন করি এবং সমগ্র বাংলাদেশে সেল করি। শিশুখাদ্য, তোয়ালেসহ নানান পণ্য তৈরি হচ্ছে।’
আরেকজন বলেন, ‘কাজ করতে পারলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পাই। আর যারা জুনিয়র আছে তাদের ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দেয়া হয়।’
কর্মকর্তারা বলেন, ‘পাটজাত দ্রব্য, মবিল ও লুব্রিকেন্ট ইত্যাদি উৎপাদন হচ্ছে। বস্ত্র বেশিরভাগই দেশের বাইরে আমেরিকা, কানাডা ও জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে।’
তবে বেশকিছু সংকটও রয়েছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সীমানা প্রাচীর না থাকা, লোডশেডিং, সেন্ট্রাল ইটিপি না থাকা, ব্যাংক ঋণের জটিলতা ও গ্যাসের চাপ কম থাকায় সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিসিকের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মালিকরা বলেন , ‘ড্রেনেজ ব্যবস্থাগুলোকে আরও সম্প্রসারিত করতে হবে। বছরে অন্তত দুইবার করে পরিস্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিসিক বলছে, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। নরসিংদী শিবপুরের বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘সমস্যা যেটা হয় আমাদের শিল্প মালিক যারা আছেন, তারা যত্রতত্র ময়লা ফেলেন। তাদের ময়লা ফেলার কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। তবে আমাদের চেষ্টার জায়গা হচ্ছে, তাদেরকে সর্তক করা যেন ড্রেনেজ বাধাগ্রস্ত না হয়।’