তাজরিন ফ্যাশন থেকে চুড়িহাট্টা, বঙ্গবাজার থেকে নিউ মার্কেট, গত কয়েক বছরে অনেক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিদিন গড়ে ৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এতে কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণ গেছে ১০২ জনের।
অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীতে তিন দিনের আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো শুরু হয়েছে। আয়োজন করেছে ইলেকট্রনিক্স সেফটি এন্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইসাব)। এতে দেশ-বিদেশের ৮৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। স্টলগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, হোস ও আনুষাঙ্গিক উপকরণ, রিল ক্যাবিনেটসহ বিভিন্ন আগুন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও উপকরণ জায়গা পেয়েছে।
অগ্নিনির্বাপণ পণ্যের প্রায় সবকিছুই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যাতে খরচ হয় অনেক বেশি। তাই ফায়ার সেফটি বিষয়ক সরঞ্জামাদি দেশে প্রস্তুত করার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘এসব প্রোডাক্টের বেশিরভাগ বাইরে থেকে আসে। তাই দেশেই এসব প্রোডাক্ট উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
সভাপতি ইসাব সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, ‘কোনভাবে যেন নিম্নমানের প্রোডাক্ট না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
অগ্নিকাণ্ডের শুরুর সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ সময় কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা ভবন মালিকদের প্রশিক্ষণ নেয়ার পরামর্শ দেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
দেশেই কিভাবে এ শিল্পের বাজার তৈরি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। আর এই সেক্টরের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের ফায়ার সার্ভিস সেফটি যন্ত্রাংশ তৈরির উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে তিন দিনব্যাপী এই মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন অতিথিরা। মেলা শেষ হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি।