আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

'রোজার ৬ পণ্য আমদানিতে ছাড় দিবে ভারত'

রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ, চিনি, ডালসহ ৬টি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিশেষ কোটা দেয়ার সম্মতি জানিয়েছে ভারত।

ভারত সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রমজানে যেসব খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে তারমধ্যে চাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও মসুর ডাল শীর্ষে। ফলে আমদানি নির্ভর এসব পণ্যের যোগান দিতে হিমশিম খায় সরকার। প্রতি বছর রমজানের আগে তাই আমদানি করতে হয় এসব পণ্য। যার অধিকাংশই আসে ভারত থেকে।

গেল ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মসুর ডাল এই সাতটি পণ্য আমদানিতে আলাদা কোটা চায় বাংলাদেশ। সে সময় ডাল বাদে ছয়টি পণ্যে কোটা দিতে রাজি হয় ভারত।

তবে চাল, গম ও চিনির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সুপারিশ ছিল ভারতের। এরইমধ্যে দিল্লি সফরে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সফর শেষে সোমবার (১২ রফব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের কথা সাথে বলেন তিনি। কোটা সুবিধার বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী আস্বস্ত করেছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, 'আমাদের ভোগ্যপণ্যের জন্য অনেক বিষয় ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, পেঁয়াজ, চিনি, ডালসহ কিছু মসলাজাতীয় ভোগ্যপণ্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়।'

তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতের ভিসা সহজ করতেও কথা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী। বলেন, 'সীমান্তের বিষয়ে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আমার সাথে একমত হয়েছে। তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যাটা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আগামী মাসে থেকে ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। নির্বাচনের পর আমরা বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।'

মিয়ানমারের অস্থিরতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকির বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত পাশে থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।

এসএস