সীমান্তের কাছেই বিজিবি'র তুমব্রু বিওপি। আর এ বিওপির পাশেই সড়কে পড়ে আছে দু'টি মর্টারশেলের অবিস্ফোরিত গোলা। সেখানে লোকজনের চলাফেরা বন্ধ রাখতে লাল পতাকা দেয়া হয়েছে এবং বাঁশ দিয়ে সড়কে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। রোববারও (১১ ফেব্রুয়ারি) এ দৃশ্য চোখে পড়ে। এর আগের রাতে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসে গোলাগুলির শব্দ। সব মিলিয়ে তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্তে এখনও কিছুটা থমথমে পরিস্থিতি। তবুও জীবিকার তাগিদে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু বাজারের পাশেই সীমান্ত লাগোয়া হিন্দু পাড়া, কোনারপাড়া ও বাজারপাড়া গ্রাম। এসব গ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে সুনশান নীরবতা। তালাবদ্ধ ছিল প্রায় সব ঘরবাড়ি। সীমান্তের ওপারের সংঘাত-সংঘর্ষের জেরে প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে ঘুমধুমের প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দা চলে গিয়েছিলেন অন্যত্র। তবে সেসব গ্রামে আবার কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। খেত খামারে যাচ্ছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি শান্ত থাকায় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি বেড়েছে তুমব্রু বাজার এবং ঘুমধুম বাজারেও। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে ফিরেছে কিছুটা কর্মব্যস্ততা।
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, অস্থিরতার মুখে স্বজনদের কাছে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া প্রায় ৮ হাজার মানুষের মধ্যে ফিরেছে ৩ হাজারের মতো।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের ঘুমধুমে উড়ে আসা মর্টারশেলের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা। এমন প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ বসবাসের সুযোগ চান সীমান্তের বাসিন্দারা।