কয়েক বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও জরাজীর্ণ এই শুল্ক স্টেশনেই চলছে ভারতে পারাপার হতে যাওয়া যাত্রীদের সেবা কার্যক্রম। তাই ছোট্ট এই ভবনটি এখন যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের বড় কারণ।
শুল্ক স্টেশন ভবনের যাত্রী সেবায় থাকা দুইটি কক্ষের একটিতে ভ্রমণ কর নেয়ার জন্য ব্যাংকের বুথ, অপরটিতে তল্লাশির পাশাপাশি লিপিবদ্ধ হয় প্রয়োজনীয় তথ্য। তবে, দুই কক্ষের কোনাটিতেই নেই পর্যাপ্ত বসার জায়গা, সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। তাই জটলা লেগে থাকা ছোট্ট কক্ষে জায়গা না পেয়ে বাইরেই দাঁড়াতে হয় সেবা গ্রহীতাদের। আন্তর্জাতিক বন্দরে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
তারা জানান, ভেতরে কাজ করতে গেলে ভয়ই থাকে, কখন ওপর থেকে প্লাস্টার খসে পড়ে। খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়াতে হয়। ব্যাগেজ রাখার জায়গা নেই।
ট্রাভেল ট্যাক্সের পরিমাণটা যেহেতু বেড়েছে, সেভাবে আশা করি আরও ভালো হোক।
এদিকে শুল্ক স্টেশনে কর্মরতদের আবাসনের জন্য নির্মিত ভবনের বেশিরভাগই পরিত্যক্ত। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ভবনগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না।
যাত্রীদের কয়েকজন জানান, এখানে যে স্টাফ আছে তাদের নিজেদের থাকার জায়গা নাই। আমাদের প্যাসেঞ্জার হিসেবে সুযোগ সুবিধা তো একদম নাই।
আখাউড়া স্থলবন্দর পেরুলেই আগরতলা শহর। আর সেখান থেকে রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের দূরত্ব কম হওয়ায় তুলনামূলক কম খরচে ভারতের পর্যটন শহরগুলোতে যাতায়াত করা যায়। তাই দিন দিন এই স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে যাত্রী পারাপার।
২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় পৌনে ৩ লাখ যাত্রী পারাপারে প্রায় ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। আর চলতি অর্থবছরে ভ্রমণ কর ৫শ' টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে ১ লাখ ২০ হাজার যাত্রী পারাপারে রাজস্ব এসেছে অন্তত ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। তাহলে আয় বৃদ্ধির পরেও যাত্রী সেবায় উদ্যোগ নেই কেন? প্রশ্ন ছিলো বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম তালুকদারের কাছে। তিনি বলেন, 'ভবনের বিষয় তো আমরা ঠিক করতে পারবো না। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন, তারা বিষয়টি অবগত।'
যাত্রী পারাপারের বেনাপোলের পরেই আখাউড়া বন্দরের অবস্থান। যেখান দিয়ে প্রতিদিন গড়ে পারাপার হন সাতশ' থেকে আটশ' যাত্রী।