২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় রাষ্ট্রের গোপন ও স্পর্শকাতর নথি ঠিকভাবে সামলাতে না পারার ভুল করে বসেন বাইডেন। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ১৫ মাস তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে না বলে জানান দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী।
একই অপরাধে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলেও জেনে-বুঝে নথি বাইরে বের করা বাইডেন বেঁচে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট সন্তোষ জানিয়েছেন।
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি পূর্ণ সহযোগিতা করেছি তদন্তে। কোন বাধা তৈরি করিনি। তদন্তে যখন যা দরকার বলে জানিয়েছেন আইনজীবী, আমি সব দিয়েছি। দু’দিনে পাঁচ ঘণ্টা ধরে সশরীরে উপস্থিত থেকে তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমি খুশি যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই ঘটনার পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন আইনজীবী।’
এদিকে এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আইনজীবী রবার্ট হুর তার ৩৮৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাইডেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন না করার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তার বয়স ও দুর্বল স্মরণশক্তির কথা। আর এতে চটেছেন ৮৬ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বাইডেন। দাবি করেছেন, তার স্মরণশক্তি ভালোই আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, আমার ছেলের মৃত্যুর তারিখও মনে নেই। কোন সাহসে এমন কথা বলেন তিনি। আমাকে যখন এ প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমি নিজের মনে ভাবছিলাম যে এ ঘটনার সাথে আমার ছেলের মৃত্যুর সম্পর্ক কী?’
২০১৫ সালে প্রাণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছেলের মৃত্যুর সময় বাইডেনের বয়স ছিল প্রায় ৭৮ বছর। মামলা থেকে বাইডেন বেঁচে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রবীণতম মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য আঘাত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হফস্ট্রা ল’ স্কুলের অধ্যাপক জেমস স্যাম্পল বলেন, ‘প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের খুব ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরা হয়নি, তা স্পষ্ট। প্রমাণ ছাড়াই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন আইনজীবী। জনগণের আদালতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য এ প্রতিবেদন নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর।’