বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, 'আমরা নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ এবং বাজারজাত করবো। যদি নিজেদের পরিবারের মধ্যেও সচেতনতা নিয়ে আসতে পারি তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি নিরাপদ খাদ্যে উল্লেখযোগ্য দেশে পরিনত হবো।'
খাদ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ "স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই" প্রতিপাদ্যে ৩ দিনের এই আয়োজন। এতে পাঁচ তারকার পাশাপাশি বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও খাবারের ৭০ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। একে-অপরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন তারা।
সেফ ফুড কার্নিভাল উদ্বোধন কালে খাদ্যমন্ত্রী
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'ভোক্তাদেরকে সেরা স্বাদের খাবারটা দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের। এখানে বেশিরভাগই হোমমেইড খাবার। চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পিঠা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে।'
কার্নিভালে আসা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সারাদেশের সব জায়গায় এমন নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা হোক।
ক্রেতারা বলেন, 'এখানে এসে অবশ্যই ভালো লাগছে। খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছে। খাদ্যের সাথে যারা অংশীদারভূক্ত তারা যে এই চর্চাটা করছে এই জন্য আমরা গর্বিত।'
ধান, গম, মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্যে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ এখন দেশ। নেই মঙ্গা কিংবা দুর্ভিক্ষের মতো দুর্যোগও। কিন্তু খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ভাবনা থেকে মুক্তি মেলেনি।
গ্রামের ছোট্ট বাজার থেকে বিভিন্ন সুপারশপ। সবখানেই রয়েছে ভেজাল কিংবা নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ। কখনো কখনো ভোক্তার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। চালের বস্তায় ঢুকছে পাথর, মাছ-মাংসের ওজনে কমবেশি, গরুর নামে মহিষের মাংস বিক্রি, ফলমূল ও সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা কীটনাশক।
তিন দিনের এই সেফ ফুড কার্নিভাল সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে সবার জন্য।