সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালত এ রায় ঘোষণা দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষ।
সোমবার সকাল ১০ টায় সুবর্ণচরের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার রায় ঘিরে নোয়াখালী জেলা আদালত প্রাঙ্গণ ছিল থমথমে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় এ মামলার ১৫ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
সকাল ১১টার কিছু পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস। এ সময় ১০ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন তিনি। অপর ৬ আসামিকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদিপক্ষের আইনজীবী বলেন, 'এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা দ্রুত কার্যকর করতে হবে।'
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেয়ায় স্বামী-সন্তানকে বেঁধে আসামিরা ওই নারীকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরদিন ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।