মশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা কেজি। এদিকে বাজারে চিনির সংকট দেখা গেছে। দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, 'আমরা যেইভাবে কিনি সেভাবেই বিক্রি করি। ওরা (পাইকারি) তো কমাই নাই। বলছিলো খোলা চিনি ৫ টাকা কমছে কিন্তু কমাই নাই। এংকর ডাল ৮০ টাকা। রমজানের কারণে এইগুলোর চাহিদা বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ছে। রমজানের আগে থাকতেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।'
রাজধানীর বাজারগুলোতে সবচেয়ে বেশি মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সব ধরনের মুরগিতে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। পোল্ট্রি ফিডের দাম বেশি হওয়াতেই এই দাম বৃদ্ধি বলে বিক্রেতাদের দাবি।
মুরগি বিক্রেতারা বলেন, 'গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা ছিলো। আর এই সপ্তাহে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা।'
অন্যদিকে সপ্তাহব্যাপী ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি না হলে রমজানে আগে এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে বিক্রেতাদের আশঙ্কা। তবে বাজারে সব ধরনের আলুর দাম কমেছে। কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা কমে ৩০-৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলেন, 'পাবনার দেশি পেঁয়াজ ৮৬ ছিলো আর আজকে ৯০ টাকা কেজি। আজকে ফরিদপুর হাইব্রিডের দাম ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা। আলুর দাম ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। আর এখন ২৭ টাকা কেজি।'
এদিকে বরাবরের মতই বাজার করতে এসে ক্রেতারা হতাশ। প্রতিমাসেই বাজারের তালিকা যেমন ছোট হচ্ছে একই সাথে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে বাজার তদারকি করার দাবি ক্রেতাদের।
ক্রেতারা বলেন, 'রমজান মাসে যদি দাম আরও বাড়ে তাহলে এটা কিন্তু জনগণের জন্য কোনমতেই মঙ্গলের না। দুই হাজার টাকা বাজেটে বাজারে আসলে আরও ৫০০ টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়। প্রতিদিন বাড়ছে কিন্তু কমছে না।'
তবে অপরিবর্তিত দামে গরু ও খসীর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে শীতের সবজির কোন কমতি নেই।