করদাতারা বলেন, 'সময় মিলাতে কঠিন হয়ে যায়। চাকরি করি তাই আগে আসতে পারিনি। যে কারণে শেষদিনে এসে জমা দিলাম। আর ভিড় এড়াতে পছন্দ করি তাই শেষে দেয়াই ভালো।'
করদাতারা জানান নির্বাচন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নথি সংগ্রহ করতে না পারায় কর জমা দিতে দেরি হয়েছে অনেকের। এদিকে কর জমা দিতে পারলেও রিটার্ন জমার রিসিট পেতে হয়রানি ও ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরও বলেন, 'নির্বাচন গেলো তাই মানুষ ব্যস্ত ছিলো। এখন তারা সুযোগ দিয়েছেন তাই বিলম্ব হলেও দাখিল করতে এসেছি। ট্যাক্সের সাথে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্যক্রম জড়িত। কাগজপত্র সংগ্রহ এবং টাকা জমা দেওয়া। নথিপত্র সহজে পাওয়া যায় না। তাই সংগ্রহ করতে সময় লাগে। সাধারণ মানুষ যারা রিটার্ন জমা দিতে আসে তাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।'
যদিও কর আইনজীবীরা বলছেন করদাতাদের উদাসীনতা ও গড়িমসির কারণে শেষ সময়ে বেশি ভিড় হচ্ছে। এছাড় অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে গাইডলাইন দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আহ্বান জানান তারা।
চট্টগ্রামে শেষ দিনে করদাতাদের দীর্ঘ সারি
আইনজীবীরা বলেন, 'অনেক করদাতাকে সময় দিলেও তারা আসে না। তাই শেষ মুহূর্তে ভিড় করছে। মানুষকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের শিক্ষাটা অনেক বেশি বেশি দেয়া দরকার।'
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আশা, গত বছরের তুলনায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি কর আদায় হবে। সে লক্ষ্যে ব্যক্তিপর্যায়ে যারা প্রথমবার কর দিবেন তারা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
ঢাকা-৬ অঞ্চলের কর কমিশনার লুৎফুল আজীম বলেন, 'আমাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের লক্ষ্যমাত্রা আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে আমার প্রবৃদ্ধি রয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। প্রথম করদাতা যারা তাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ জুন পর্যন্ত।'
২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে রিটার্ন জমা পড়ে ৩০ লাখ ২০ হাজার।