অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা: কাল প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে এনবিআর ঐক্য পরিষদ

এনবিআর ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
এনবিআর ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন | ছবি: এখন টিভি
0

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ঐক্য পরিষদ। চলমান কর্মবিরতির পর এবার তারা এই ঘোষণা দিলো। সমস্যা সমাধানে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ২২ মে) প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবে তারা।

আজ (মঙ্গলবার, ২০ মে) অর্থ উপদেষ্টাসহ বেশকয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় আসেনি এনবিআরের এর চলমান অচলাবস্থার সমাধান। যদিও বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। কিন্তু এনবিআর ঐক্য পরিষদ থেকে জানানো হয় তাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আজ (বুধবার, ২১ মে) থেকে আবারও আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়।

এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন কর অঞ্চলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আগারগাঁও এনবিআরের কার্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করে। গত কয়েকদিনের মতো কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

দুপুর সোয়া ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা। উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠকে তাদের দাবির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কিন্তু তা না মানায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘গতকাল অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এনবিআর ঐক্য পরিষদের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে অর্থ উপদেষ্টার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।’

সেই সাথে অধ্যাদেশ বাতিল ছাড়াও এনবিআরের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানানো হয় এবং অসহযোগ কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেয় ঐক্য পরিষদ। এছাড়া ২২ মে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের কথা জানায় তারা।

আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। আগামীকাল দুপুর থেকে এনবিআর ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রপ্তানি ও যাত্রী সেবা বাদে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে কাজ আগেই শেষ হওয়ায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানায় তারা।

গত ১২ মে রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ নামে পৃথক ইউনিট গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ অনুযায়ী কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এসএস