এখন মাঠে
0

আর্থিক সামর্থ্যের কাছে বন্দি খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন

প্রান্তিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পরামর্শ

খেলার মাঠ নেই তাতে কি, তাই বলে কী থেমে থাকে ক্রিকেটের দুরন্ত কিশোররা। বাঁশ ঝাড় তো আছে, মালিকের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখানেই হয় চার-ছক্কার অনুশীলন।

চাঁদার টাকায় কেনা বল, কঞ্চির স্ট্যাম্প আর বন্ধুর ধার নেয়া ব্যাটে ক্রিকেটের কলা-কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করছেন গাইবান্ধার গোপালপুর গ্রামের কিশোররা। যেখানে স্পষ্ট ভালোবাসা থাকলেও খেলোয়াড় হয়ে ওঠার স্বপ্ন আর্থিক সামর্থ্যের কাছে আটকে থাকে।

ফসলের মাঠে ক্রিকেট খেলছেন কিশোররা। ছবি: এখন টিভি

কিশোররা বলেন, ‘আমাদের টাকা নেই যে একটি ভালো ব্যাট কিনবো। অনেকসময় ব্যাট ধার করে খেলতে হয়। আর মাঠ না থাকায় গাছতলায় খেলতে হয়।’

কোন নিয়ম-নীতি না জানলেও সুযোগ পেলেই ফসলের মাঠকে খেলার মাঠে রূপান্তর করে বগুড়ার শিবগঞ্জের তেঘরি গ্রামের শিশু-কিশোর ও তরুণরা। ফুটবল কিংবা ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগ কিংবা পৃষ্ঠপোষকতা নেই।

অন্যদিকে গ্রাম কিংবা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু শরীরচর্চার মধ্যেই সীমাবদ্ধ খেলাধুলা। আয়োজন যতটুকু হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেই শেষ। খেলাধুলায় পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ যখন অর্থ, তখন প্রান্তিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পরামর্শ সচেতন মহলের।

বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ আলিম বলেন, ‘খেলাধুলার জন্য আগে মাঠের প্রয়োজন। এজন্য মাঠগুলো সংস্কার করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে স্কুল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।’

জেলা শহরগুলোতে বেসরকারী একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকলেও অনেকে অর্থের অভাবে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তৈরির জন্য স্থানীয় সরকারের বাজেটে খেলাধুলায় বরাদ্দ চান ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৫টি খেলার মাঠ উন্মুক্ত করেছি। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্লাবগুলোতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। স্কুলগুলোতেও সেই সহযোগিতা অব্যাহত আছে।’