তীব্র শীত আর ঠান্ডা হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনভর সূর্যের লুকোচুরি আর কুয়াশার দাপটে বিপাকে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা।
মৌলভীবাজারে গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা আরো কমেছে। কুয়াশার সাথে কনকনে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেকায়দায় পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। অতিরিক্ত শীতের কারণে বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলেন, 'ঠান্ডা বাতাস অবস্থা খুব বেশি খারাপ। অসংখ্য পর্যটক তাদের বুকিং বাতিল করেছেন। এজন্য আমরা বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছি।'
বরিশালে তীব্র শীতে ভোগান্তিতে শ্রমজীবী মানুষ। শীত উপেক্ষা করেই নদী পার হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন অনেকে।
শ্রমজীবীরা বলেন, 'এখন সবারই কষ্ট হইতেছে। আগের মতো যাত্রী নাই। আয় কমে গেছে অনেক। সংসার চালাইতে কষ্ট হইয়া যাইতেছে।'
দিনভর সূর্যের লুকোচুরি, কুয়াশার দাপট আর উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়ায় চুয়াডাঙ্গাতেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
টানা শীতে ঠান্ডা-কাঁশি, শ্বাসকষ্টসহ ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। যাদের অধিকাংশই শিশু। রোগীর চাপ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের। হাসপাতালে ডায়রিয়া, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ। বেড না পেয়ে মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, 'শ্বাসকষ্টের রোগী ছোট বাচ্চা বিশেষ করে ডায়রিয়াজনিত কারণে আমাদের এখানে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। ১০০ বেডের হাসপাতাল আর লোকবল মাত্র ৫০ বেডের।'
দিনাজপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হওয়ায় বিপাকে দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষেরা। শীতের কারণে বোরো বীজতলা ও ফসল নষ্টের শঙ্কা করছে কৃষকরা।
পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জনজীবনে নেমেছে দুর্ভোগ। কনকনে শীত উপেক্ষা করে কিছু মানুষ কাজে বের হতে পারলেও বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ বেকার সময় পার করছেন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।