যুদ্ধ
বিদেশে এখন
0

গাজায় ফের ইসরাইলের হামলা, নিহত ১৫৮

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের ১০২তম দিন পেরিয়ে গেলেও থামছে না গাজার নিরীহ মানুষের ওপর হামলা। সোমবার দিনভর ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৫৮ জন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে প্রাণহানি ছাড়ালো ২৪ হাজার।

শুধু গাজাতেই নয়, ইসরাইলের আগ্রাসন চলছে পশ্চিম তীরেও। জাতিসংঘের তথ্যমতে গেল বছর পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি। চলতি বছরের প্রথম ১৫ দিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন।

যুদ্ধে প্রাণহানি বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মানবিক সংকট। খাদ্যের জন্য বাড়ছে হাহাকার। জাতিসংঘের ত্রাণবাহী গাড়ি দেখে সোমবার জড়ো হয়েছেন হাজারো মানুষ। তবে ইসরাইল ত্রাণ প্রবেশে বাঁধা দেয়াই খাবার জুটেছে অল্প কিছু মানুষের মুখে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বাড়ছে পানির সংকটও বাড়ছে। তাই গৃহস্থালির প্রয়োজন মেটাতে ভরসা করতে হচ্ছে সাগরের নোনা পানির ওপর।

গাজার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের সন্তানরা নোনা পানি পান করে অসুস্থ হয়েছে। পানি ফুটানোর কোন ব্যবস্থা নেই, তাই ডায়রিয়া বাড়ছে। খাবার খুঁজতে খুঁজতে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েকদিন ধরে ওরা আমাদের খাবার দিচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেলে কী করবো জানি না।'

পান করার জন্য সমুদ্রের নোনা পানি সংগ্রহ করছে দুই ফিলিস্তিনি শিশু

জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির তথ্য বলছে, গাজার প্রতিটি মানুষই ক্ষুধার্ত। শীঘ্রই যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করতে পারলে পরিস্থিতি আরো গুরুতর হবার আশঙ্কা সংস্থাটির।

ফিলিস্তিনের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সামির আবদ এল জাবের বলেন, 'আমরা যতটুকু খাবার সরবরাহ করতে পারছি, তার চেয়েও দ্রুত খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। গাজার জনগণের জন্য সহায়তা পৌঁছাতে প্রয়োজন কর্মীদের নিরাপত্তা। শুধু সীমান্তেই নয়, মধ্য গাজার জনগণকেও সহায়তা করতে হবে। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করতে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্র বিরতি প্রয়োজন।'

এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন উত্তর গাজায় সম্মুখ যুদ্ধ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই দক্ষিণ গাজায় অভিযানের মাত্রা কমানো হবে। তবে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।