'আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই'

0

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে যে গ্যাস সংকট চলছে তা কেটে যাবে বলেও আশ্বাস দেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, শীতে গ্যাসের চাপ কমে যায়, এই সমস্যা খুবই সাময়িক, দু-একদিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিং করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এছাড়া আগামী মার্চ থেকে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের চেষ্টা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যেোগ নেয়া হয়নি।

দেশে সবশেষ ২০২২ সালের জুনে আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বাড়ায় বিইআরসি। এতে দুই চুলার মাসিক বিল ১০৮০ টাকা ও এক চুলার জন্য ৯৯০ টাকা ঘোষণা করা হয়।

এদিকে গ্রীষ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

গ্রীষ্মে গরম বেড়ে যাওয়ায় এবং বোরো মৌসুম হওয়ায় দেশে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তেই থাকে। গড়ে এই ৫ মাসে প্রতিদিন ১৫ হাজার থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। আবার মার্চে শুরু হচ্ছে রোজা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিষয়ে টাকা একটি বড় বিষয়। টাকা জোগানের বিষয়ে আমরা একটা পরিকল্পনা করে রেখেছি। আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে বসবো, কথা বলবো। টাকার জোগান যদি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দিতে পারবো।

তরল জ্বালানি থেকে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় গড়ে ২৬ টাকা। কখনো এর চেয়ে বেশি। যদিও কয়লা থেকে তা পাওয়া সম্ভব ৮/৯ টাকাতেই। দেশি প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আরও কম দামেই। কিন্তু গ্রাহক পর্যায়ে সরকারকে এই বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হয় গড় উৎপাদন দরের চেয়ে কম দামে।

এমন পরিস্থতির মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়াতে উৎপাদন খরচ আরও বাড়ে। ফলে ভর্তুকিও বাড়তে থাকে। তবে নতুন করে বিবিয়ানায় ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাসের সন্ধান মিলেছে, যাকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে পরিবেশের ক্ষতি হয় না এমন পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদন করা হবে বলে জানান নসরুল হামিদ।