সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকে মন্ত্রী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ জানান এবং আগামী দিনগুলোতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে হাছান বলেন, 'দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়। দু'দেশের মানুষের মাঝে যোগাযোগ ও বাণিজ্যের প্রসারে আন্ত:দেশীয় রেল ও সড়ক সংযোগ স্থাপনে চলমান কাজ দ্রুত সমাপ্তির জন্য আমরা চেষ্টা করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আন্তর্জাতিক মুদ্রার উপর নির্ভরতা কমাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রা অর্থাৎ বাংলাদেশের টাকা ও ভারতের রুপি ব্যবহারের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে করে উভয় দেশই উপকৃত হবে।'
এর আগে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন বার্তা পাঠানোর জন্য ভারত সরকার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানান। বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উপকূলে জাহাজ চলাচল, সীমান্ত হাটের (সাপ্তাহিক বাজার) সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। পাশাপাশি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়েও কাজ শুরু করার ওপর গুরুত্ব দেন মন্ত্রী। এ চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান এবং ২০২৩ সালকে সবচেয়ে সফল বছর হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ নিয়ে বড় কয়েকটি প্রকল্প গত বছর সমাপ্ত হয়েছে, নতুন প্রকল্পও উদ্বোধন হয়েছে।'
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম, স্টার্ট আপ, বাণিজ্য সহজীকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করার ওপর জোর দেন।
প্রণয় ভার্মা বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ড. হাছান মাহমুদকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন বলে জানান।