পশ্চিমা বিশ্বকে টেক্কা দিতে বরাবরই গোপনে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যার নমুনা মেলে কিছুদিন পরপর দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) যুদ্ধাস্ত্র সংবলিত কঠিন জ্বালানিবাহী ইঞ্জিনের একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পিয়ংইয়ং।
সিউল জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে পূর্ব সাগরে ভূপাতিত হয়।
জাপান জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার উঁচুতে উঠেছিল।
এর আগে গেলো বছরের ১৮ ডিসেম্বর কঠিন জ্বালানিবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র 'হাওসং এইটিন' পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। এছাড়াও কঠিন জ্বালানির ইঞ্জিন সংবলিত আরও ক্ষেপণাস্ত্র নভেম্বরে পরীক্ষা করে পিয়ংইয়ং।
গেলো সপ্তাহেই উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বলেন, যেকোন সময় সিউলকে ধ্বংস করে দিতে পারে পিয়ংইয়ং।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উৎক্ষেপণ এখন আর পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কারণ দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু ঘোষণার পাশাপাশি রাশিয়া সফর করেছে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে মস্কোকে উত্তর কোরিয়ার সমর্থন দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য সতর্কবার্তা।
বিশ্ব যখন মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়ে ব্যস্ত, তখন যুক্তরাষ্ট্রকেও চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত পিয়ংইয়ং। বিশ্লেষকরা বলছেন, ছোটখাটো কোন উস্কানিমূলক কাজ দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রও ভবিষ্যতে ব্যবহার করতে পারে উত্তর কোরিয়া।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও ২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণে অস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। মহাকাশে পাঠিয়েছে স্পাই স্যাটেলাইট। কঠিন জ্বালানির ক্ষেপণাস্ত্র খুব সহজেই উৎক্ষেপণ করা যায় আর সনাক্ত করাও কঠিন। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের তুলনায় ৫ গুণ দ্রুতগতিতে যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র পুরো একটি অঞ্চলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।