কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। আর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্নআয়ের মানুষ। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। সহকর্মীদের পাঠানো তথ্য ও ছবিতে শামিমা রহমান শাম্মির প্রতিবেদন।
পৌষের শেষে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা নিয়ে এসেছে মাঘ। হিমশীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতে তরতর করে নামছে থার্মোমিটারের পারদ।
শীতে কাঁপছে উত্তর। গত পাঁচ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিম শীতল হাওয়ার প্রভাবে শীত বেড়েছে অনেকগুণ। রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন-রাত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো অঞ্চল। যেখানে আগুন পোহানোই একমাত্র ভরসা দরিদ্রদের।
হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে চলছে পৌষের শীতের দাপট। গত ছয় দিন ধরে প্রান্তিক এ জনপদের মানুষে সূর্যের দেখা পায়নি। মৌসুমের শুরুতে শীতের তেমন প্রকোপ না থাকলেও, শেষ সময়ে হিমালয় থেকে আসা শৈত্যপ্রবাহে জবুথবু এখানকার জনপদ।
কনকনে শীত জেঁকে বসেছে রাজশাহীর জনপদেও। শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে সেই অনুভূতি। ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে বাইরে বের হলেও লোক সমাগম না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে যানবাহন চালকদের।
যমুনা পাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জেও শীতের দাপটে বিপর্যস্ত মানুষ। বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা না থাকায় সীমিত হয়েছে যানবাহন চলাচল। দূরপাল্লার কিছু যানবাহন চললেও বেশিরভাগই পড়েছে যাত্রী সংকটে। চলাচলের ধীরগতিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে দেরিতে। যাতে বাড়ছে ভোগান্তি।
রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে নওগাঁয় বাড়ছে কুয়াশার দাপট। উত্তরের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে পিচঢালা পথ। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে চলাচল করা যানবাহনগুলোকে পড়তে হচ্ছে বেকায়দায়।
এদিকে, শীতের তীব্রতায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে বেশিরভাগ জেলায়। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।
যার বেশিরভাগই শিশু। শয্যা সংকটে একই বেডে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে কয়েকজনকে।