ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, রাশিয়ার ছোড়া ২৮টি ড্রোনের মধ্যে ২১টি ধ্বংস করা হয়েছে। কোন ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই বিমান হামলা ও ৩টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে হামলা চালায় রাশিয়া। রুশ বাহিনী স্থল অভিযান থেকে সরে এসে এখন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় গুরুত্ব দিয়েছে। এসব হামলায় গত দুইদিনে ৫ শিশুসহ ১১ জনের প্রাণ গেছে।
এদিকে অর্থোডক্স ক্রিসমাস থাকলেও রুশ সেনাদের ছুটি বাতিল করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধে হতাহত সেনাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক ও ক্রিসমাস ডিনার করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এছাড়া যেকোন পরিস্থিতিতে সেনাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মস্কো।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সবাইকে একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই। যারা দেশের স্বার্থ রক্ষায় জীবন দিচ্ছে রাশিয়ার সরকার সবসময় তাদের পাশে আছে। দেশের প্রয়োজনে এবং দেশকে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কাছ থেকে সবসময় সমর্থন আশা করি।
সুইডেনের একটি সম্মেলনে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আগ্রাসন থামাতে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। নিজেদের রক্ষায় ইউরোপকে যৌথ উদ্যোগে অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এদিকে কিয়েভ সফরকালে ইউক্রেনে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে গুরুত্ব দেন তিনি। ন্যাটো তহবিলের মাধ্যমে ইউক্রেনকে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিতে যাচ্ছে জাপান। এছাড়া দেশটির বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকার জন্য পাঁচটি মোবাইল গ্যাস টারবাইন জেনারেটর ও সাতটি ট্রান্সফরমার দেবে জাপান।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওকো কামিকাওয়া বলেন, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে জাপান দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এজন্যই সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর রাশিয়ার সীমান্ত শহর বেলগোরোদে ইউক্রেনের হামলায় ২৫ জন নিহতের ঘটনায় অর্থোডক্স ক্রিসমাস উদযাপন বাতিল করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে এ এলাকায় ব্যাপক হামলা চলছে। ১০০ জনের বেশি বাসিন্দাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া।