বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুদিন আগে আওয়ামীলীগের শেষ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। তাই সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সভার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে থাকে দলীয় কর্মীরা।
১৫ বছর পর প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ সভাপতির নির্বাচনী জনসভায় দুপুরের আগেই জনসভাস্থল এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নেতাকর্মীদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় বিকেল তিনটায়। জাতীয় পতাকা হাতে নৌকা আকৃতির মঞ্চে আসেন নৌকার কাণ্ডারী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জের ভূমিকা তুলে ধরে শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, 'এখানে তিনটি মেট্রোরেলের লাইন নির্মাণ করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। এখানে আমরা স্পেশাল এবং মেঘনা ইকনোমিক জোন করেছি। ডেমরা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।'
নির্বাচন বানচাল করতে দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ সভাপতি বলেন নির্বাচনে বাধা দিলে মেনে নেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, 'নিজেরা যেহেতু নিবার্চন করে জিততে পারবে না। তাই এখন দেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। সকলেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রমাণ করবেন দেশে এখনো গণতন্ত্র বিদ্যমান।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের এই যাত্রার ধারাবাহিকতা আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কেউ ধরে রাখতে পারবে না। বিএনপি এখন নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। যেকারণেই সন্ত্রাস করে।
জনগণের শক্তি আওয়ামীলীগের একমাত্র শক্তি উল্লেখ করে আওয়ামীলীগ প্রধান বলেন, বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না৷
দ্বাদশ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারে নামেন আওয়ামীলীগ সভাপতি। এরপর, রংপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকা ও ফরিদপুরে পর নারায়ণগঞ্জে জনসভায় আসেন শেখ হাসিনা। বরাবরের মতো এখানেও নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন, তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলেন ভোটার উপস্থিতি।