পোস্টার-লিফলেট-মাইকিংয়ে জমজমাট প্রচার

0

ব্যানার, পোস্টার, লিফলেট আর মাইকিংয়ে এখন ময়মনসিংহে চলছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা। আর এর যোগান দিতে দিনরাত কাজ চলছে ছাপাখানাগুলোতে। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মাইক সার্ভিসগুলো।

নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট ছাপার কাজে এখন সরগরম ময়মনসিংহ নগরীর ছোটবাজারের প্রেসপাড়া। মেশিনের আওয়াজ আর মালিক-শ্রমিকদের হাঁকডাকে মুখর এলাকা।

সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একটা টানা কাজ করতে হচ্ছে শ্রমিকদের। বেড়েছে আয়ও। শ্রমিকরা বলছেন , 'ভালো কাজ থাকায় ওভারটাইম করতে পারছি। বেশি আয়ের সুযোগ হয়।'

একেকটি ছাপাখানায় প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ নির্বাচনী পোস্টার ছাপা হচ্ছে। প্রতিটি মেশিনে ছাপার কাজ করেন দুই থেকে তিন জন। কাটিং ও বাইন্ডিং এর জন্য প্রয়োজন হয় আলাদা লোকবল। ছাপাখানার মালিকরা জানান, অন্যবারের চেয়ে পোস্টার লিফলেট এর অর্ডার আসছে বেশি।

ছাপাখানায় ব্যস্ত শ্রমিকরা। ছবি : ময়মনসিংহ।

প্রচারণার সময় বেশি পাওয়ায় এবার ভালো ব্যবসা হবে তাদের। তবে কাগজ কালিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় কিছুটা সমস্যা রয়েছে বলে জানায় তারা। মালিকরা বলেন, 'কাগজ, কলমের দাম বেশি হওয়ায় যেরকম লাভ হওয়ার কথা সে পরিমাণ লাভ হচ্ছে না। সব প্রেসেই কাজ হচ্ছে এবং আমরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।'

কাগজের পোস্টার ছাড়াও ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনের বেশ চাহিদা রয়েছে নির্বাচনে। কুয়াশার কারণে এবার পোস্টার লেমিনেটিং করে নিচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতি পোস্টার লেমিনেটিং করতে খরচ হয় পাঁচ টাকা। মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা বলছেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক প্রার্থীদের পোস্টার ও লিফলেট ছাপার কাজ পেয়েছেন তারা।

ডিজিটাল ব্যানার বানানোর কাজ করছেন ডিজিটার মেশিনে। ছবি : ময়মনসিংহ।

শুধু পোস্টার লিফলেট ছাপার কাজেই ৫০ কোটি টাকা লাভের আশা তাদের। ময়মনসিংহ মুদ্রণ শিল্প ও মালিক সমিতির সভাপতি ইয়াজদানি কোরায়শী কাজল বলেন, 'আগে ছাপা এবং লাভসহ ১ হাজার টাকায় আমরা পোষ্টার ডেলিভেরি করতে পেরেছি। এবছর তার চেয়ে ২০০ টাকা বেশি দরে শুধু কাগজ কিনতে হচ্ছে। আগে যে প্রার্থী পাঁচ লাখ পোষ্টার এর কথা ভাবতেন। তিনি এবার বাজেট সংকোচন করছেন।'

মাইকের দোকানের সামনে অটোরিক্সার ভিড়। ছবি : ময়মনসিংহ।

প্রতিদিন দুপুর ২টার আগে বাজারে মাইকের দোকানের সামনে গাড়ির ভিড় জমে যায়। অটোরিক্সায় মাইক বেঁধে ছড়িয়ে পরে নির্বাচনী এলাকায়। ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ব্যবসা হতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। নির্বাচন কেন্দ্র করে চাঙ্গা ভোটের বাজারে অর্থের  চলাচল যেমন বেড়েছে তেমনি এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতেও। নির্বাচনকেন্দ্রিক বাড়তি আয়ের সুযোগও হয়েছে অনেকের। 

এসএস

আরও পড়ুন: