সময়ের পালাবদলে পাল্টে গেছে রাজশাহী। সবুজের বিশুদ্ধতা, সৌন্দর্য, অবকাঠামো আর শহর ব্যবস্থাপনা নগর অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। এতে করে গত ১৫ বছরে নগরে আবাসন ব্যবসা প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
পরিচ্ছন্ন এই শহরে পাবলিক-প্রাইভেট, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দেশসেরা কলেজ, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যয় আর ব্যবস্থাপনার ওপর ভর করে নগর ও নগরপ্রান্তের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
শহর ছাড়িয়ে বের হলেই বিশাল এই বরেন্দ্রভূমির জলকাদায় সারাবছর ফসল ফলছে। তবে চোখে দেখা এ সুখের আড়ালেও অসুখের বেদনা আছে। এ অঞ্চলে কৃষি অর্থনীতি সবে শিল্পে রূপ নিচ্ছে, তবে এর উন্নয়নে উদ্যোগ অতি সামান্য। তাই এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকার সুষম উন্নয়নের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে প্রত্যাশা নাগরিকদের।
শিক্ষাবিদ মহা. হবিবুর রহমান বলেন, আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। একইসঙ্গে আইটি পার্কে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খাঁন আলম বলেন, ‘আমাদের পুঁজি এখনও কৃষিভিত্তিক। এই পুঁজি আস্তে আস্তে বাণিজ্যিক পুঁজিতে রূপ নিচ্ছে।’
নদীপথে রাজশাহী থেকে ভারতের ধুলিয়ান পর্যন্ত নৌ-প্রটোকল দ্রুত বন্দরে উন্নয়ন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও রহনপুর রেলবন্দরকে কাজে লাগিয়ে ত্রিদেশীয় বাণিজ্যিক হাব গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটি টুরিজম ব্যবসাকে তরান্বিত করার আশা এ খাতের বিশেষজ্ঞদের।
রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, আগামীর জনপ্রতিনিধিরা এ অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক হাব গড়ে তোলার সব ধরনের উদ্যোগ নেবেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটিালিটি ম্যনেজমেন্ট বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক তানজিল ভূঁইঞা বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে তাদেরকে ঘিরে ট্যুরিজম ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।