সংস্থাটি জানায়, গতবারের চেয়ে এবছর বিশ্ব বাণিজ্য কমবে ৫ শতাংশ। অর্থনৈতিক বৈষম্য, ক্রমবর্ধমান ঋণ ও ভূরাজনীতির কারণে আরও ছোট হবে বাণিজ্যের আকার। এদিকে, বাংলাদেশেও প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মুখে পড়ে বিশ্ব। এখন হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নানাভাবে প্রভাবিত করছে বিশ্ব বাণিজ্যকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আঘাত করেছে বার বার।
আঙ্কটাড বলছে, এ বছর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য পৌঁছাবে ৩০.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ডলার কম। এরমধ্যে পণ্য বাণিজ্য কমবে ৮ শতাংশ। তবে সেবা খাতে ৭ শতাংশ বাণিজ্য বাড়বে।
গ্লোবাল ট্রেডের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ থেকে কমে ২.৪ শতাংশে নেমে আসবে। ২০২৪ সালে বিশ্ব বাণিজ্যে অনিশ্চিত ও হতাশাজনক চিত্র দেখার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। উন্নত দেশ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য নিম্নমুখী। উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে রপ্তানি কমে যাওয়ায় বাণিজ্যের আকার ছোট হচ্ছে।
এর পেছনে মূলত ভূরাজনীতিকে দায়ী করছে আঙ্কটাড। মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বজুড়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে গেছে। এছাড়া, উচ্চ সুদের হার শিল্পের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব আগামী বছরও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্ভাবাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশসহ কাজাখস্তান, মিয়ানমার ও কোরিয়া এই চার দেশের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
২০২৪ সালে এশিয়ার গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৯ থেকে কমে ৪.৮ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া এশিয়ার গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৩.৬ শতাংশ হবে।