ঢাক-ঢোল পিটিয়ে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার বার্তা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। মসনদের লড়াইয়ে জনগণের মন জয় করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস এবং নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মূলত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির মাঠে লড়াইটা হবে মমতা বনাম মোদীর। তাই ২০২৪ এর ফাইনাল পরীক্ষার হিসাব-নিকাশে কে কতটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন সেদিকেই নজর সবার।
এদিকে ভোট আবহের মধ্যে সম্প্রতি হওয়া অসময়ের বৃষ্টিতে জমির ফসল হারিয়ে পথে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। ঋণের বোঝায় জর্জরিত অনেক চাষী।
চাষীরা বলেন, চাষ করতে হলে ঋণ নিতে হয়, অনেকসময় সুদ নিয়েও চাষাবাদ হয়। বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি ছাড়াও বছরের অন্য সময়ও ফসলের কোন দাম নেই।
এ অবস্থায় কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ও তৃণমূল সরকার। তবে প্রান্তিক কৃষকেরা বলছেন অন্য কথা। ভোট এলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও অনেকক্ষেত্রেই তা কার্যকর হয় না বলে জানান তারা। সহায়তার অর্থও সময়মতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষীদের।
প্রান্তিক চাষীরা বলেন, বছরে ৫ হাজার রূপি দেয়, তা দিয়ে প্রয়োজন মেটে না। সার থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আহামরি লাভ হচ্ছে না, সাময়িক কিছু ক্ষতিপূরণ হচ্ছে। ভোট চলে গেলে নেতারা আর আমাদের চেনে না।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় শিলিগুঁড়িসহ পশ্চিমবঙ্গের অন্যন্য জেলার ২ লাখ ৮৬ হাজার কৃষককে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে পিএম কিষাণ প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়েছে মোদী সরকারও।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এতে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪ দশমিক ছয় শতাংশ বেশি।